বিচারপতি স্থায়ী করতে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ অগ্রাধিকার পাবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে শপথের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোট।

 

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘নিয়োগবঞ্চিত বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী প্রতিকার চাইতে আপিল বিভাগে যেতে পারবেন।’

 

আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে এ পর্যবেক্ষণ দেন।

 

আজ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া আট বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। এঁরা হলেন- বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান, বিচারপতি আমির হোসেন, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি রাজিক আল জলিল, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি মো. ইকবাল কবির, বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

 

২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী ও জে এন দেব চৌধুরীও নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মো. ফরিদ আহমেদ শিবলীকে স্থায়ী করা হয়নি। এ ছাড়া জে এন দেব চৌধুরী গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মারা গেছেন।

 

পরে দুপুরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নিজেই রিট করেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী। আদালতে শিবলীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

 

রিটকারীর আইনজীবী বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে আদালতের যেকোনো বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ প্রয়োজন হবে। বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলীকে স্থায়ী করতে প্রধান বিচারপতি সুপারিশ  করেছেন। কিন্তু তাঁকে রাষ্ট্রপতি স্থায়ী করেননি। যা সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার পরিপন্থী।’

 

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

 

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটে ফরিদ আহমদ শিবলীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাঁকে কেন স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল।

সূত্র: এনটিভি