বিএফইউজে সভাপতির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সদস্যদের ঐক্যবব্ধ থাকার আহ্বান আরইউজের

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। রোববার নির্বাহীর কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সভায় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানানো হয়।

তবে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে এবং পিআইবির পাঠানো ফরম বদল করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কেরানী, কলেজশিক্ষক, দীর্ঘদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নন এমন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীকে চেক দেয়ায় নিন্দা জানানো হয়। যা লিখিতভাবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সদস্য মিজানুর রহমান টুকু, সামাদ খান। বিশেষ আমন্ত্রণে সভায় যোগ দেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ। এছাড়া অসুস্থ্য থাকায় অনলাইনে যোগ দেন আরইউজের সহ-সভাপতি শরীফ সুমন।

সভায় আলোচনা হয়, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া করোনাকালীন অনুদান কোনো সদস্যকে নিতে বারণ করা হয়নি। পিআইবির সরবরাহ করা ফরমের কিছু শর্ত নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছিল। কারণ ওইসব শর্ত পূরণ করে সদস্যদের পক্ষে সরকারি অনুদান নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ফরমের শর্ত শিথিল করতে বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও পিআইবির মহাপরিচালককে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্ত তারা ওই শর্ত মেনে টাকা নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে ফরম পরিবর্তন করা হলেও বিএফইউজে বা পিআইবির পক্ষ থেকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্ত গত ৪ সেপ্টেম্বর বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল ও পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ চেক বিতরণ করেছেন। সেখানে তারা যে বক্তব্য রেখেছেন তা মিথ্যা ও শিষ্টাচার বহির্ভূত। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন মনে করে, তারা প্রভাবিত হয়ে সাংবাদিকদের বিভক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন, যা নিন্দনীয়।সর্বসম্মতভাবে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল ও পিআইবি মহাপরিচালকের বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সেই সঙ্গে সভায় আলোচনা হয়, ২০১৫ সালের ৮ আগস্টের আগে যারা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা বর্তমান কমিটিকে রেজুলেশনের একটি খাতাও দিতে পারেননি। ফলে সেসময় যারা সদস্যপদ পেয়েছেন, তারা কীভাবে পেলেন তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে সদস্যপদ দিতে বাছাই কমিটি গঠন, সংবাদমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কাজটি করে আসছেন।

যারা সদস্যপদ পান, তাদের সম্পর্কেও সংবাদমাধমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। ফলে এক পত্রিকা থেকে ৭-৮ জনের সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাখ্যাটি বর্তমান সভাপতির আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি বলতে পারবেন। কারণ বর্তমান সভাপতির সময়ে এমন ঘটনা ঘটেনি। সংবাদপত্রের মালিকদের নিয়ে করা বৈঠকে এমন ইস্যু নিয়ে বিএফইউজে সভাপতি বক্তব্য রাখায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে আগামীতে নেতৃত্বের দায়িত্ব বুঝে তিনি বক্তব্য রাখবেন-এমন প্রত্যাশাও করা হয় নির্বাহী কমিটির সভায়।