বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় দিনে-দুপুরে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন অর রশিদ (৫৫) পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি পেশায় হোমিও চিকিৎসক। আটক রুবেল মিয়া (৩৫) একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের বাসিন্দা।

এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি দাবি করেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা শাখার পাগলার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে, গলা কেটে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে ‘ফিরোজা হোমিও ক্লিনিক’ নামের চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা দিতেন হারুন। প্রতি দিনের মতো আজ সেখানে যাওয়ার পথে পুরাতন সিনেমা হলের সামনে হারুনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উল্লাস করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন রুবেল। পরে স্থানীয়রা এসে হারুনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

বাড়িতে ফিরে মা বিউটি বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন রুবেল। পরে ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। স্বজনেরা বিউটি বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হারুনের হত্যার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় বাড়তে থাকে। এ সংবাদ পেয়ে রুবেলের বাড়িতে হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে চারটি ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম বলেন, রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক বিএনপি নেতা হারুকে নির্দয়ভাবে কুপিয়ে হত্যা দেশজুড়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পৈশাচিকতার আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ যে মানবিকবোধশূন্য রাজনৈতিক দল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল হারুনুকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মাধ্যমে।’

হারুন অর রশিদের হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।