মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ শিবিরে জয়ের সুবাস এনে দিয়েছেন ইবাদত হোসেন। যদিও পঞ্চম দিনে দারুণ লড়াই করে জিততে হবে টাইগারদের। আজ শেষ বিকেলে দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিউইদের একাই ধসিয়ে দেন ইবাদত। সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস ফেসবুকে লেখেন, ‘স্যালুট বায়ুসেনা। টানা ৪ দিন আধিপত্য। বাকি কেবল গুরুত্বপূর্ণ শেষ দিন। আসুন শক্ত হয়ে বসে প্রার্থনা করি এবং দলকে সমর্থন করি।’
মজার ব্যাপার হলো, আজকের আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্য এবং একসময়কার ভলিবল খেলোয়াড় ইবাদতের কার্যকারিতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ছিল। প্রথম ইনিংসেও সবার চেয়ে বাজে বল করেছেন দলে ‘বায়ুসেনা’ হিসেবে পরিচিত ইবাদত। অথচ আজ তাঁর বোলিংয়ে দুর্দান্ত গতি, নিয়ন্ত্রণ আর বিধ্বংসী সব ইয়র্কার দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না এটাই ইবাদত! দিনের খেলা শেষে লিটন কুমার দাস বললেন, ‘ইবাদতের এই রূপ বের করে আনতেই দল তার ওপর আস্থা রেখেছিল।’
এই টেস্টের আগের ১০ টেস্টে ৮১.৫৪ গড়ে ইবাদতের শিকার ছিল ১১টি, যা টেস্ট ইতিহাসে ১০টির বেশি উইকেট শিকারি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে বোলিং গড়। ইবাদতের নতুন রূপ নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমিও যখন শুরু করেছিলাম, পারফরম্যান্স অতটা ভালো ছিল না। সত্যি বলতে, বাংলাদেশের এখন যে দলটা খেলছে, সবারই যে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো, তা কিন্তু নয়। ক্রিকেটারদের তাই সুযোগ দিতে হবে। এমনিতেই আমরা অনেক দিন পরপর টেস্ট খেলি। সে (ইবাদত) একটা ফরম্যাটেই খেলে।’
লিটন আরো বলেন, ‘অনেক সময় বাংলাদেশে খেলা হলে ইবাদত খেলে, না হলে খেলে না। এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে যে একজন পেসারের জন্য সব সময় সব কিছু অনুকূলে থাকে না। হয়তো গড় ও ইকোনমি একটু বেশি ছিল। কিন্তু তার যে সামর্থ্য আছে, সে যে ভালো বোলার, আজ তা প্রমাণ করেছে। সামনেও দেখাবে, আমি আশাবাদী। ওর ম্যাচ ১১ কী ১২টা। আমার মনে হয় একেকটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে অভিজ্ঞতা আনতে, ক্রিকেটকে বুঝতে। ওই সুযোগ সবাইকে দেওয়া উচিত।’
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ