বাসে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে শাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে যৌন হয়রানি ও অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে এক যুবককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের (চট্ট-মেট্রো-ব-১১-১০৮৬) ভিতরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে হট্টগোলের আওয়াজ শুনতে পান শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের টহলরত দল। এ সময় গাড়ি থামিয়ে গাড়িচালক ও সুপারভাইজারের কাছে সার্জেন্ট শিবলু মিয়া জানতে চান, গাড়িতে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা।

গাড়িচালক ও সুপারভাইজার জানান, একজন পুরুষ যাত্রী ও একজন নারী যাত্রীর (শাবি শিক্ষার্থী) মধ্যে ঝামেলা হয়। গাড়িতে থাকা পুরুষ যাত্রী শেরপুরে নামতে চাইলে নারী যাত্রীটি পুরুষ যাত্রীকে নামতে না দিয়ে তাকে সিলেটে নিয়ে যেতে বলে।

নারী যাত্রী বলেন, আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিলেট হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অবস্থান করছে।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. নবীর হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে  সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের বাসটিতে বি-৪ সিটে বসেছিলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার মো. আব্দুর রউফের ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান (২৬)। তিনি তার পেছনের ই-৪ সিটে বসা সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ যাবত বিরক্ত করেন। এছাড়া মেয়েটির দিকে বারবার তাকিয়ে বিভিন্নভাবে খারাপ অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সুপার সিলেট রিজিয়নের নির্দেশক্রমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভীবাজার সদর মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় তিনি ঘটনার বিবরণ শুনে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। অনাদায়ে বিনাশ্রমে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. শহিদ উল্লাহ্ বলেন, মহাসড়কে সব ধরনের হয়রানিমূলক কাজ বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। মহাসড়ক নিরাপদ ও মহাসড়কে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সেই বিষয়টি সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে।