সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বাল্যবিয়ে ঠেকানোর এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন নাটোরের এক সরকারি কর্মকর্তা।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন এক সাপ্তাহিক সভায় ঘোষণা দিয়েছেন, গ্রামপুলিশের কোন সদস্য সম্ভাব্য বাল্যবিয়ের আগাম খবর দিতে পারলেই পুরস্কার তার মোবাইল ফোনে ৫০টাকা রিচার্জ করে দেবেন।
কিন্তু এত কিছু থাকতে মোবাইল ফোনে রিচার্জ কেন?
হোসেন বলছেন, উপজেলার ছ’টি ইউনিয়নে যে ৫১জন গ্রামপুলিশ আছে তারাই বাল্যবিয়ে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট।
“তারা গ্রামে যাতায়াত করে। প্রায় প্রতি বাড়ি সম্পর্কেই তাদের কাছে খবর থাকে। বাল্যবিবাহের ঘটনা তারা আগে জানতে পান। তারা যদি এ কাজে সহযোগিতা করেন তাহলে ভাল ফল পাওয়া যাবে”।
কিন্তু সামান্য সরকারি ভাতা পাওয়া দরিদ্র গ্রামপুলিশের সদস্যদের মোবাইল ফোনে অনেক সময় কল করার টাকা থাকে না। এদিকটি বিবেচনা করেই তাদেরকে উৎসাহ দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে রিচার্জ করবার এই ঘোষণাটি দেয়া হয়েছে, বলছিলেন মি. হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামপুলিশের সদস্যদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন ইউএনও মি. হোসেন।
“প্রতি সপ্তাহেই তাদের সাথে বসি। তাদের কথা শুনি। আজ যখন ঘোষণা দিয়েই দিয়েছি প্রাথমিকভাবে টাকার সংস্থান আমি ব্যক্তিগতভাবে করব। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিব”।
গত এক বছরে গুরুদাসপুরে শতাধিক বাল্যবিবাহ হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জেল জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও বাল্যবিবাহ রোধ করা যাচ্ছে না বলে মি. হোসেন জানান।
তার আশা, নতুন এই উদ্যোগের ফলে হয়তো গ্রামপুলিশের সদস্যরা অর্থনৈতিক কারণে হলেও বাল্যবিয়ের খবর দেয়া থেকে বিরত থাকবে না।
এ নিয়ে একজন গ্রামপুলিশ আব্দুস সালাম বিবিসিকে বলেন, ঘোষণাটি তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে।
বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়েসী মেয়েদের বিয়ে দেবার ঘটনা নতুন নয়।
গ্রামাঞ্চলে এই প্রবণতা খুব বেশী।
সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগ ও প্রচারণা সত্বেও এই প্রবণতা কমিয়ে আনা যাচ্ছে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা