বারবার দিকবদলে শক্তি কমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’

যতটা আশঙ্কা ছিল, ততটা হচ্ছে না। বারবার দিকবদলের ফলে শক্তিক্ষয় ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদে’র। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে  (ক্রমিক নম্বর ১০) বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে একই এলাকায় (১৭.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।

গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি. মি. বেগে অস্থায়ী দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে ।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ােহাওয়ার আকারে ৬০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত (পুন.) ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হলাে।’

অপরদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সাগরের বুকে ক্রমশই শক্তিক্ষয় হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের। পুরী পৌঁছনোর আগেই সে আরও শক্তি হারাবে। গত ৬ ঘণ্টা ধরে ১১ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ‘জাওয়াদ’। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ১৮০ কিলোমিটার, ওড়িশার গোপালপুরের ২০০ কিলোমিটার, পারাদ্বীপ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার এবং পুরী থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার দুপুরেই পুরীতে তা আছড়ে পড়বে। শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে ‘জাওয়াদ’।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন