নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘সেদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডাক্তার আমার আনারুলকে মারছিলো তখন বাবু গেলে তাকেও মারে। চোখের সামনে দুই ছেলেকে মারে আর মা কি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। আমি ডাক্তারের বললাম বাবা-সোনা তোমরা থামো। তা তারা আমার দুই ছেলেকে মারে। আমাকে একজন এসে এই বুড়ি বলে আমার স্বামীর লাশের ওপরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।’
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে ইন্টার্নি ডক্তারদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় নিগত মহাসির স্ত্রী ও আনরুল ও বাবুর আহত মা রাহেলা বেগম এসব কথা বলেন।
রাহেলা বলেন, ‘তারা সেদিন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে পিস্তল ছিল। ছেলেরা বিক্ষোভ করলে ওই ইন্টার্ন গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমার স্বামীর ভালো চিকিৎসা হলে মনে হয় বাঁচতো। তারা একদিন তোমন কোন চিকিৎসায় দেয়নি। খালি ফেলে রেখে ছিলো। আমরো আর চিকিৎসার বিষয়ে জানি না। ডাক্তারদের ডাকলেও তারা আসতো না।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে সেখান কার ভালো পুলিশরা এসে বলে চাচি আপনি এখন থেকে চলে যান। আপনার ছেলেকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। আর লাশ একটা ঘরে আসে। তখন আমি কানতে কানতে বাড়ি চলে আসি। পরে এলাকার চেয়ারম্যান ও আরো লোকজন এসে আমার স্বামীর লাশ নিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে রোগীর স্ব্জন ও ইন্টানী চিকিৎসদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহত মহাসিনের দুই ছেলেকে মারধরে করে পুলিশে দেয় ইন্টার্নি ডাক্তাররা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, তারা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৪০) ও আনারুল ইসলাম (৩০)। আর এ ঘটনায় মা রাহেলা বেগম (৬০)।
স/আ