বুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাবা জানেনা মেয়েকে হত্যার কথা, বলা হয়েছে গুম

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭ ১:০৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
বাবা মিলন রানা দূর পরবাসে থাকে। শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলা (৭) ও মেহজাবিন আক্তার মালিহার (৬) নিখোঁজের কথা বলা হয়েছে। আর মালিহার বাবা এলাকাতে কাজ করেন। নিখোঁজ হওয়ার পরে সুমাইয়া খাতুন মেঘলার বাবা মিলন রানাকে তার পরিবারের লোকজন ফোন দিয়ে বলে মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছেনা। দেশে আসতে। এমনটি বলেন স্থানীয়রা জানায়।

স্থানীয়রা বলেন, মিলন রানা কাতারে থাকেন। সেই জন্য মেয়ের মৃত্যুর কথা তাকে বলা হয়নি। তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য যাত্রা শুরু করেছন। তবে বাড়িতে আসলে তাকে বলা হবে। অন্যদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নেমেছে শোকের ছায়াও। এর মধ্যে তাদের লাশের ময়নাতন্তের শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার প্রক্রয়া চলছে।

এর আগে রোববার সকাল প্রায় ১০ টা হবে। বাড়ির বাইরে খেলতে আসে শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলা (৭) ও মেহজাবিন আক্তার মালিহার (৬)। এরপর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজির করা হয় তাদের। পর না পেয়ে বিকেলে দুই শিশুর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

তখন থেকেই নিখোঁজ ওই দুই শিশুকে উদ্ধারে মাঠে কাজ করছিলো পুলিশের একাধিক টিম। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তেলীপাড়া মহল্লার জনৈক শম্ভুর মেয়ে গীতা রানীকে (১৮) আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে খোঁজ মেলাতে পারেনি পুলিশ।

অবশেষে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরুস্কারও ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিখোঁজ দুই শিশুর প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় দেশের সবকটি পুলিশ স্টেশনে। শুধু তাই নয়, নিখোঁজ দুই শিশুকে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ যাতে ভারতে পাচার করতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির সহায়তাও নেয় পুলিশ। কিন্তু এতো সন্ধান মেলাতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা এক হয়ে এলাকার হারানো শিশুদু’টিকে খুজতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্দেহভাজন প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়। তাতেও কোন লাভ হয়নি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। এলাকার আর মাত্র কয়েকটি বাড়ি আছে। এবার সেই বাড়িগুলোতে তল্লাশি চালানো কথা। এলাকার লোক কখনো মনে করতে পারেনি যে তারা এবার খুঁজে পায় তাদের।

এই তল্লাশি চালানোর সময় এলাকার কিছু যুবক গ্রামের ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর বাড়িতে ঢুকে পরে। এসময় তারা বাড়ির বাইরে এবং ভেতরে সব স্থান তন্নোতন্নো করে খোঁজা হয়। এক পর্যায়ে তারা দুইটি বস্তা দেখতে পাই। বস্তা খুললে ভেতর থেকে দুইটি লাশ বেড় হয়ে আসে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, এই ঘটনায় বাড়ির মালিক ইয়াসিন আলী, তার স্ত্রী তানজিলা বেগম ও ছেলের বউ লাকি খাতুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় নিহত মেহজাবিন আক্তার মালিহা বাবা আব্দুল মালেক থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে আসামি কারা হয়। কিন্তু সেটা আমরা গ্রেফতারকৃত আসামিদের জবানবন্দিন নিয়েছে। আসা করছে আজ বুধবার বিকেল চার মধ্যে আপনাদের জানানো হবে। এই হত্যা-ের ঘটনার কারণসহ সব বিষয়ে জানো হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ফতেপুর মহল্লা থেকে ২ দিন আগে নিখোঁজ হয়, নামোশংকরবাটী ভবানীপুর মহল্লার প্রবাসী মিলন রানার মেয়ে স্থানীয় ছোটমনি বিদ্যা নিকেতনের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন মেঘলা ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের মেয়ে একই স্কুলের নার্সারীর ছাত্রী মেহজাবিন আক্তার মালিহা।

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর