বৃহস্পতিবার , ২১ মার্চ ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাবার সঙ্গে আবরারের শেষ কথা…

Paris
মার্চ ২১, ২০১৯ ৩:০৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

‘বাবা, তুমি আমার সার্টিফিকেটগুলো ফটোকপি করে অ্যাটেসটেড (সত্যায়িত) করে রেখো।তোমার কাছ থেকে আমি সেগুলো সংগ্রহ করে নেব।’

ফোনে বাবার সঙ্গে আবরার আহমেদ চৌধুরীর শেষ কথোপকথন ছিল এটিই।আবরার মঙ্গলবার রাজধানীর প্রগতি স্মরণী সড়কে বেপরোয়া বাসচাপায় প্রাণ হারান। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফ আহমেদ চৌধুরী।

মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয় আবরারের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাবাকে ফোন দেন আবরার। সেই রাতের স্মৃতিচারণ করে বুধবার আবরারের বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, ‘ছেলেটা সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে যোগদানের জন্য লিখিত-মৌখিক সব পরীক্ষায় পাস করেছিল। কোন বাহিনীতে যোগ দেবে- তা ঠিক করা হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।’

আরিফ আহমেদ চৌধুরী জানান, আইএসএসবিতে সাত দিনের পরীক্ষার জন্য আবরারের যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে সেখানে তার সার্টিফিকেট জমা দেয়ারও কথা ছিল। বাবাকে সব সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে রাখতে বলেছিলেন আববার। সাড়ে ১১টার মধ্যে বিইউপিতে ক্লাস শেষ করে অ্যাটেসটেড সার্টিফিকেট জমা দেয়ার কথা ছিল আবরারের।

আরিফ আহমেদ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে গেট পর্যন্ত যান আবরার। সঙ্গে ছিল তিন সহপাঠী।কিছুদিন পরই আবরারের মায়ের কাছে এক সহপাঠীর ফোন আসে। সেই কল থেকে আবরারের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

স্ত্রীর কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত প্রগতি সরণিতে ছুটে যান আরিফ আহমেদ চৌধুরী। গিয়ে দেখেন রাস্তার দুপাশে জটলা। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে জানান, ‘অলরেডি হি ইজ ডেড’।

ছেলেকে ঘিরে বাবার স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া।কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।

মঙ্গলবার সকালে প্রগতি সরণি এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। টানা দুদিন চলে এ বিক্ষোভ। এ সময় তারা ৮ দফা দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন।

সর্বশেষ - জাতীয়