বাবর শফিক রিজওয়ানের ব্যাটে পরাজয় এড়াল পাকিস্তান

৫০৬ রান তাড়ায় মাত্র ২১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই অবস্থা থেকে দলকে উত্তরণ করেন অধিনায়ক বাবার আজম।

বাবরকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই তিন ব্যাটারের দায়িত্বশীলতায় নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচে এক সময়ে জয়ের আশা জাগানো পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ড্র করে।

করাচি টেস্টে পাকিস্তানের এই ড্র জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তার কারণ অস্ট্রেলিয়ার করা ৫৫৬/৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানেই অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।

স্বাগতিকদের ফলোঅনে না ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯৭ রান করে ৫০৬ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু অসিদের সেই জয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেননি বাবর আজম, আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের এই তিন ব্যাটার উইকেটে থিতু হওয়ার পর মাটি কামড়ে ব্যাটিং করে যান।

দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক বাবর (১৯৬) ও আব্দুল্লাহ শফিক (৯৬)। শফিক মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। একই অবস্থা বাবর আজমের। তিনিও ৪ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন।

জয়ের জন্য শেষ দিনের শেষ ৭৪ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১৪ রান। ১৯৬ ও ৬৬ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন বাবর ও রিজয়ান।

কিন্তু নাথান লিয়নের বলে মার্নাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাবর। তার ঠিক পরের বলেই আউট হন নতুন ব্যাটার ফাহিম আশরাফ।

পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে ইতিহাস গড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখা পাকিস্তান পরাজয়ের দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ৬০৩ মিনিট উইকেটে থেকে ৪২৫ বল মোকাবেলা করে ২১টি চার ও এক ছক্কায় ১৯৬ রান করে ফেরেন বাবর। শূন্য রানে ফেরেন ফাহিম আশরাফ।

দুই বলে বাবর-ফাহিম আউট হওয়ার পর পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই অবস্থায় দলকে বিপদ মুক্ত করার পাশাপাশি মারকাটিং ব্যাটিংয়ে ২১তম টেস্টে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান (১০৪*)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৫৫৬/৯ রান (উসমান খাজা ১৬০, অ্যালেক্স ক্যারি ৯৩, স্টিভ স্মিথ ৭২)। এবং ২য় ইনিংস: ৯৭/২ রান (উসমান খাজা ৪৪*, মার্নাস লাবুশেন ৪৪)।

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪৮/১০ রান (বাবর আজম ৩৬; মিচেল স্টার্ক ৩/২৯)। এবং ২য় ইনিংস: ৪৪৩/৭ রান (বাবর আজম ১৯৬, মোহাম্মদ রিজওয়ান ১০৪*, আব্দুল্লাহ শফিক ৯৬; নাথান লিয়ন ৪/১১২)।

ফল: ম্যাচ ড্র

 

সূত্রঃ যুগান্তর