বাদী ও নির্যাতিত শিশুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহানের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় বাদী ও নির্যাতিত শিশুটির বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে তাঁরা হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিলা ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আজগর স্বপন বলেন, আদালতে বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক ও নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসায় বিচারক তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সাক্ষীদের বারবার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত থেকে নোটিশ দেওয়ার পরও তাঁরা হাজির না হওয়ায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতে আজ শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী হাজির ছিলেন।

 

বিচারক আগামী ১৭ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন।

 

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

 

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে তাঁরা দুজনই জামিনে রয়েছেন।

 

গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে স্ত্রী নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।

 

গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দেয় গৃহকর্মী হ্যাপি।

 

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করে শাহাদাতের বাসায় তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।

 

পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খন্দকার মোজাম্মেল হক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকেই শাহাদাত স্ত্রীসহ পলাতক ছিলেন।

সূত্র: এনটিভি