বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ২৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া ২৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকারে ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনারের উপ-কমিশনার ফেরদৌসী মাহবুব এ তথ্য জানান। সোমবার বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনে গিয়ে এসব মামলা করেন তারা। এ সময় তার সঙ্গে সহকারী কমিশনার জুয়েলা খানমও পরিদর্শনে ছিলেন।

ফেরদৌসী মাহবুব জানান, ‘সোমবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারের একটি বিশেষ নিবারক দল মেলা পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কিছু স্টলে অনিয়ম দেখতে পায়। এতে দেখা যায়, কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে না। কেউ আবার ভ্যাট চালান ছাড়াই পণ্য বিক্রি করছে। কোনও কোনও বিক্রেতা যথানিয়মে ভ্যাট পরিশোধ করছে না। যারা ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে বিধিবিধান মেনে ভ্যাট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সেগুলো হলো—কিয়াম মেটাল, দিল্লি এ্যালুমিনিয়াম, নাভানা ফার্নিচার, নাবিস্কো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড, হাজীর বিরিয়ানি, স্মার্ট জোন, রয়েলেক্স মেটাল, এফজি জুয়েলারি, দেশ কালেকশন, মেসার্স শাহজাহান স্টোর, দি পার্ল হাউজ, জিসান কালেকশন, কামাল এন্টারপ্রাইজ, নাছির আবেদিন ট্রেডার্স, আশরাফ অ্যান্ড বাদার্স, নিদা ট্রেডিং, গৃহিণী বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব, হাশেম ফুডস লি, মিয়াকো , লাভেলো আইসক্রিম, এস কে বি স্টেইনলেস স্টিল মিলস, হাজির বিরিয়ানি অ্যান্ড শাহী কস্তুরি কাবাব, বেঙ্গল মেলামাইন লি., ব্রাদার্স ফার্নিচার ও ফ্যাশন জুয়েলারি।

এসব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে বলেও জানান ফেরদৌসী মাহবুব। এসব মামলা আইন অনুযায়ী ভ্যাট কর্তৃপক্ষ নিষ্পত্তি করবেন। দোষী প্রমাণিত হলে ফাঁকি দেয়া ভ্যাট আদায় ও জরিমানা হতে পারে।

উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য মেলায় ভ্যাটযোগ্য ৫১৮টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এ বছর মেলা থেকে ৬ কোটি টাকা ভ্যাট আহরণ হবে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর এই খাতে আহরণ হয়েছিল ৫.২১ কোটি টাকা।