নাটোর প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গ্রেপ্তারকৃত মাইশা ইসলাম গত দুই মাস আগে সোহল তানজীম রানা নামে ঢাকার এক বাসিন্দাকে বিয়ে করে বাড়ি থেকে লাপাত্তা হন। তার বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার পাবনাপাড়া চাঁদপুর এলাকায়।
এছাড়া ২ বছর আগে মাইশার বাবা ও চাচাকে তাদের বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করেছিল বগুড়া ডিবি পুলিশ। গত দুই মাস ধরে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া সেই মাইশার বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না। এলাকাবাসীর দাবি তার পরিবার সব সময় সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন।রোববার (১৩ আগস্ট) নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি দলের সদস্য মাইশার বাবা সাইদুল ইসলাম দুলাল ও চাচা ফজলুর রহমান দুইজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য।
২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ তাদের গ্রেপ্তার করেছিলো বগুড়া ডিবি পুলিশ। মাইশার চাচা ফজলুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন। আর মাইশার বাবা সাইদুল ইসলাম জামিনে থাকলেও তিনি বাড়িতে অবস্থান করেন না। তাদের বাড়িতে কারও সাড়া শব্দ মেলেনি। পুলিশ সুপার বলেন, মাইশার পরিবারের ওপর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ মাস আগে স্থানীয় মসজিদে সোহেল তানজীম রানা নামে একজনের সঙ্গে মাইশার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাইশার স্বামী সোহল তানজীম রানা নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা বলে দাবি করা হয়। এরপর আর তাদের এলাকায় দেখা যায়নি। সরকারবিরোধী এই পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে তেমন একটা মিশতেন না।
মৌলভীবাজারে মাইশা গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।