বাজারে আসছে শীতের আগাম শাক-সবজি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার একর জমিতে চাষ হয়েছে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি। হাট-বাজারে এখনও রবিশস্য অত্যন্ত কম উঠেছে।

চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাজারে সব ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যাবে। বর্তমানে সীমিত পর্যায়ে মুলা, পালংশাক উঠলেও তা দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দামও কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান, এবারের রবি মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত চাষাবাদ চলবে। তবে ৭ হাজার একর জমিতে আগাম রবিশস্যের চাষ হয়েছে। বাজারে সীমিত পর্যায়ে মুলা, পালং শাক উঠলেও সেপ্টেম্বরের শেষে সব ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যাবে।

কৃষকরা জানান, জমিতে শীতের আগাম শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। এ কারণে পুরাতন শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। শাক-সবজির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারগুলোতে সব ধরনের শাক-সবজির দাম অনেক বেড়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।

শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার গৃহবধূ ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, কাটনারপাড়ার ব্যাংকার মোস্তাফিজার রহমান, কালিতলার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, বড়গোলার চাকরিজীবী আবদুস সালাম প্রমুখ জানান, নানা অজুহাতে বাজারে প্রতিটি শাক-সবজির দাম অনেক বাড়ানো হয়েছে।

মাত্র ১০-১২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মহাস্থান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান, ফেরদৌস আলম, জুয়েল সরকার, লুৎফর রহমান প্রমুখ জানান, আমদানি কম থাকার কারণে প্রতিটি শাক-সবজির দাম বেড়েছে।