বাচ্চাদের সরি বলতে শেখান

ইফতেখায়রুল ইসলাম

বাচ্চাদের একেবারে ছোটবেলা থেকেই কিছু বিষয় মন, মগজে গেঁথে দিতে পারলে পরিণত বয়সে সেটি উভয় পাশের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম! শেখানোর যদিও শেষ নেই তথাপি যাদের সুযোগ রয়েছে তারা খুব ছোট ছোট বিষয়গুলো খুব ছোটবেলা থেকেই বাচ্চার চর্চায় আনতে পারেন!

তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি আবার কঠোর নির্দেশ আকারে যেন না হয়ে যায়! শিশুদের কোমল মন যেভাবে বললে খুব বেশি আহত হয়, সেভাবে বলাও উচিত নয়! বাচ্চাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়গুলো অপ্রত্যাশিত থাকে বিধায়, আমরা নিজেরাও অল্প বিস্তর রাগ করে ফেলি। মানুষ হিসেবে আমাদের আচরণে ঘটে যাওয়া এই সমস্যার প্রেক্ষিতে বাচ্চার স্পর্শকাতর হৃদয় চরমভাবে ব্যথিত হতে পারে। তাই সাথে সাথে না হলেও নির্দিষ্ট একটা সময় পর বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলার পাশাপাশি আপনি নিজেও দুঃখিত হলে বাচ্চা এটি খুব সুন্দরভাবে নিতে শিখবে যে, ভুল করলে সরি বলতে হয়!

এতে যে সুবিধাটি হবে, বড় হতে হতে বাসায় কর্মরত সহযোগী সদস্যদের প্রতিও কোনো অন্যায় আচরণ বাচ্চা করে ফেললে দুঃখপ্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করবে না! এবং এর ফলাফল হিসেবে বাচ্চা জীবনে চলার পথে তার পরিণত বয়সে তার প্রয়োগ ঘটাতেও দ্বিধা বোধ করবে না! অনেক সমস্যার সমাধান ঘটায় এই সরি বা দুঃখ প্রকাশ!

আমরা সকলেই কম, বেশি ভুলে পূর্ণ! বিধাতা সম্পূর্ণ করে আমাদের কাউকেই পাঠাননি! আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টা আমাদের সন্তানদের প্রকৃত মানুষরুপে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস করি! কে না জানে, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবারই সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করে।

আপনার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফলাফল নিজের চোখে যখন অবলোকন করবেন, তখন যে আত্মতৃপ্তি পাবেন তার সাথে আর কোনো কিছুরই তুলনা চলে না!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : এডিসি, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

স/রি