বাঘায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী খালু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার


বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী তার খালু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নুরনগর গ্রামের বাসিন্দা স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বাঘা থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা মানিক গঞ্জের বাসিন্দা মজিত মোল্লা বৈবাহিক সুত্রে তার শশুর বাড়ী এলাকা আড়ানী নুরনগর গ্রামে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে একটি বাড়ি ক্রয় করেন। তিনি ঢাকায় সার্ভেয়ার হিসাবে কর্মরত থাকায় মাঝে-মধ্যে আড়ানী নুরনগর গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীকে সাথে করে আসা যাওয়া করেন।

সর্বশেষ চলতি মাসের প্রথম সপ্তায় তিনি তার স্ত্রীকে সাথে করে নুরনগর গ্রামের বাড়ীতে এসে এক সপ্তাহ থাকেন। এই সময়ের মধ্যে তার ভাইরার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী(১৩) ঐ বাড়িতে বেড়াতে এলে তিনি তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলো বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী ঐ স্কুল ছাত্রীর মা স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী ও পুলিশকে জানান, আমার ছোট বোনের স্বামী মজিত মোল্লা ঘটনার পর আমার মেয়েকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় সে কথাটি গোপন রাখে। পরে তারা ঢাকায় চলে গেলে সে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন আমি আমার বোনকে ঘটনাটি অবগত করলে সে বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। পরে আমি আমার ভাই এবং নিকটতম আত্নীয়দের সাথে পরামর্শ করার কারনে মামলা করতে বিলম্ব হয়।

এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মামা এবং অপর এক খালু জানান, মজিত মোল্লা এ পর্যন্ত মোট তিনটি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রীর দুটি সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সংসার বিচ্ছেদ হলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার নুরনগর গ্রামে তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে অভিযোগ পেয়েছি। নিয়মিত মামলা হিসাবে বিষয়টি গ্রহন করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীকে রবিবার সকালে মেডিকেল চেকাপের জন্য রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ(ওসিসিতে)পাঠানো হবে।

স/আ২