বাঘায় ৪ দিন থেকে ভাঙছে পাড়: বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি গাছপালা

আমানুল হক আমান, বাঘা:
রাজশহীর বাঘায় গত ৪ দিন যাবত শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন। ৪ দিনে পদ্মার চরের প্রায় তিন শতাধিক বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

এছাড়া গত কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, ঘর-বাড়িসহ কয়েক হাজার আবাদি-অনাবাদি জমি ও গাছপালা।
আর কয়েক গজ ভাঙলেই পদ্মার পূর্ব তীরবর্তী বাঁধে আঘাত হানবে। ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে পদ্মার তীরবর্তী মানুষ।

পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর, কিশোরপুর, আলাইপুর ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর এলাকায়। ভাঙনের তীব্রতা দেখে অনেকেই গাছপালা ও অপরিপক্ক রবি ফসল কেটে নিচ্ছেন। যা কোন ফসল হিসেবে কাজে না আসলেও গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি ওই এলাকাসহ পাকুড়িয়ার কিশোরপুর, তারুর ঘাট, আলাইপুর, নাপিতপাড়া, মহাজনপাড়া, মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর, বারোশদিয়াড়পাড়া, মহদিপুর, মীরগগঞ্জ, ভানুকর, রাওথা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করার আসস্থ করেন। সঙ্গে ছিলেন মীরগঞ্জের বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েব সুবেদার আবু সাইদ সরদার, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য সিয়ার উদ্দিন, সাবেক সদস্য আওয়ামীলীগৈর নেতা আমিরুল ইসলাম, আশরাফ আলী, কামরুল ইসলাম, জামরুল হোসন, আশরাফ, কালাম মাঝি, জিল্লুর রহমান, মুক্কিযোদ্দা দুলাল হোসেন, রব্বেল, আজিজুল হোসেন, সামসুল হক প্রমুখ।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির নির্বাচন পূর্বপ্রতিশ্রুতির মধ্যে নদী ভাঙন রোধে পুর্ণাঙ্গ বাঁধ নির্মান উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কিছু কাজ করা হলেও পুরোপুরি এর বাস্তবায়ন হয়নি।

স/আর