বাঘায় হতদরিদ্র ও এতিমদের খাদ্য সহায়তা প্রদান

বাঘা প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলার শতাধিক দরিদ্র পরিবার ও সরেরহাট কলাণী শিশু সদনের এতিমদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে দুর্যোগকালীন মুহূর্তে সংকটে থাকা দরিদ্র মানুষ, সেুলন কারিগর ও এতিমদের দ্বিতীয় বারের মতো এই খাদ্য সহায়তা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম।

বাঘা থানা চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শতাধিক নারী-পুরুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, আড়াই কেজি ডাল ও নগদ অর্থ।

পরে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট শিশু কল্যাণী সদনের পরিচালক সামসুদ্দিন সরকার সমেস ডাক্তারের হাতে ২০০ কেজি চাল তুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে এতিম খারার পরিচালক শামসুদ্দিন সরকার সমেস ডাক্তার বলেন, গত বছর রমজান মাসে এতিমদের নিয়ে অনেকটা কষ্টে দিন পার করতে হয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়েছিল। এবার করোনা সংকটের মধ্যেও বাঘা থানার পুলিশ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাবাসহ অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ও নির্বাহী অফিসার এতিমদের সাথে প্রথম রোজায় ইফতার করেছেন।

উপজেলা সেলুন সমিতির সভাপতি বাচ্চু মিঞা, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে নানা কষ্টে দিন যাচ্ছে সেুলন কারিগরদের। এই দুর্দশার মধ্যে বাঘা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চাল, ডাল এবং নগদ অর্থ পেয়ে অত্যান্ত খুশি হয়েছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ এপ্রিল রাজশাহী পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশনায় ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহয়ায়তা প্রদান করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো আবারও শতাধিক কর্মহীন ও ২২৬ এতিমদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এগুলো বাঘা থানার পুলিশ বিবরণ করেন।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শতাধিক দরিদ্র ও এতিমদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।