বাঘায় সাব-রেজিষ্ট্রারের নোটিশ: দলিল লেখকদের কলম বিরতি

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় দলিল লেখক ও সাব-রেজিষ্ট্রারের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছে।

আজ সোমবার সাব-রেজিষ্ট্রার তিথি রানী মন্ডল ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন জমি রেজিষ্ট্র করা হবে, মর্মে একটি নোটিশ টানিয়ে দেন। এছাড়া দলিল লেখকদের বাদ দিয়ে শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে আসার মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন।

এ নেটিশ ও নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে দলিল লেখকরা ৫ ঘন্টা কলম বিরতি করেন এবং তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো তীব্রতর হয়ে উঠে। ফলে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ থাকে।

এ কারনে অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ জমি কেনা-বেচা করতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হন। ফলে রাজস্ব থেকে সরকার হাজার হাজার টাকা বঞ্চিত হন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন দলিল লেখক সমিতি।

বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা উভয়কে ডেকে তাঁর কার্যালয়ে ঘন্টা ব্যাপি এক রুদ্ধতার বৈঠক করেন।

আড়ানী সোনাদহ গ্রামের জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা সাহাবাজ আলী জানান, দলিল লেখক ও সাব-রেজিষ্ট্রারের মধ্যে কি নিয়ে দ্বন্দ্ব জানিনা। সকাল থেকে জমি রেজিষ্ট্রি এসে বসে আছি। জমি রেজিষ্ট্রি হবে কিনা তাও জানিনা। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত কোন জমি রেজিষ্ট্রি হয়নি।

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, বাঘায় যে পরিমান দলিল লেখক আছে, সে পরিমান দলিল হয় না। ফলে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সমিতি পরিচালিত হয়। ব্যাক্তি বিশেষে ছাড় দিতে হয়। সমিতির আওতায় সদস্যরা সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে অন্যায় দাবি নিয়ে কোন ঝামেলা করি না।

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক বলেন, সমিতির সাথে কোন কথা না বলে এবং দলিল লেখকদের বাদ দিয়ে শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে আসার নির্দেশ দেন সাব-রেজিষ্ট্রার। এমন নির্দশ দেয়ার কারনে কলম বিতরত রেখে জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ রাখা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।

বাঘা সাব-রেজিষ্ট্রার তিথি রানী মন্ডল বলেন, ছুটির দিন ব্যতিত আমি প্রতিদিন জমি রেজিষ্ট্র করতে চায়, মর্মে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের আমার কার্যালয়ে আসার মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়। তারপর দলিল লেখকরা দীর্ঘ সময় জমি রেজিষ্ট্রি না কলম বিরত করেন। দলিল লেখকদের কাজে-ভুলত্রুটি ধরা পড়লে, সেগুলো তারা মানতে চায়না। তবে আমি আইনের বাইরে কিছুই করবো না।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দলিল লেখক ও সাব-রেজিষ্ট্রারের মধ্যে ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়কে ডেকে এর সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।

স/অ