বাঘায় শীত বাড়ার সাথে সাথে পুরাতন কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ভিড়


বাঘা প্রতিনিধি: চারদিকে শুরু হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হিমেল হাওয়ার সাথে শীত শুরু হয়। নতুন কাপড়ের দোকানে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের ভিড় থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তা কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই তাদের একমাত্র ভরসা পুরাতন কাপড়ের দোকানের ওপর।

৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দরের কাপড়ও এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় জমে উঠছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ও বাঘা তেঁতুলতলা হাটে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এর মূল কারণই হলো এখানকার কাপড়ের দাম কম। এ কারণেই নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। ১৫ থেকে ২০ জন ব্যবসায়ী এখানে কাপড় বিক্রি করেন।

বানিয়াপাড়া এলাকার নিন্ম আয়ের ক্রেতা ইয়ার আলী জানান, আমরা দিন আনে দিন খায়, এমন মানুষের সংখ্যায় বেশি। আমাদের মতো গরীব মানুষ শীতে গরম কাপড় কিনতে পারেনা। তাই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতে হয়। ফলে অনেকটা সাহায্যে উপর নির্ভরশীল। তাই ফুটপাতের দোকানে বাচ্চাদের জন্য কিছু গরম কাপড় ক্রয় করছি।

আড়ানী হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভাল বিক্রিও হয়েছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছে। কোনো কোনো লটে অনেক ভাল কাপড় থাকে। সেই ভাল কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পুরাতন কাপড়ের হাট বসছে।

স/জে