বাঘায় শিমুল তুলা গাছ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন মহব্বতজান

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় শিমুল তুলা গাছ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন মোহাম্মদ মহব্বতজান নামের এক ব্যক্তি। তিনি এবছর বাড়ির পাশে প্রথম দেড় বিঘা জমিতে এ শিমুল তুলা গাছ চাষ করেছেন। কে কিনবে, কারা কিনবে, তিনি কিছুই জানেন না। তার এ তুলা গাছ চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তিনি প্রতিবেশির এক মেয়ে জামাই এর পরামর্শে তুলা গাছ চাষ করেছেন।

সেই জামাই এর বরাত দিয়ে তিনি জানান, গাছ ৪ ফুট থেকে সাড়ে ৪ ফুট হলেই লোক গিয়ে মোটা টাকা দিয়ে কিনে নিবে। এ বিষয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নেই। তুলাচাষি মোহাম্মদ মহব্বতজান উপজেলার আড়ানী পৌরসভার কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মহব্বতজান বলেন, গ্রামের এক মেয়ে জামাই এর মাধ্যমে দয়ারামপুর থেকে প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা দরে তুলার বীজ সংগ্রহ করি। এক বিঘা জমিতে ২৫ কেজি বীজ লাগে। গাছ প্রায় সাড়ে ৩ ফুট লম্বা হয়েছে। আর কিছু দিন পর বিক্রি করবো। ভালো হলে বিঘা প্রতি এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলেও তাকে ওই মেয়ে জামাই জানিয়েছেন। তিনি ওই আশায় তুলা চাষ করেছেন। সার, বীজ, সেচ, লাঙ্গল, পরিচর্যা বাবদ ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এ জমিতে তুলার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে পেঁপে চাষ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সরকার সার্বক্ষণিক তদারকি করেন বলে জানান।

কুশবাড়িয়া গ্রামের আরেক চাষি রেজাউল করীম রেজা বলেন, আমার জামাই এর পরামর্শে মাঠে ৫ কাঠা জমিতে তুলা চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো দাম পাব।

মহব্বতজান আর্মি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন ঠিকাদার। তার স্ত্রী শামিমা আরা বিথি আশা এনজিও’র কর্মী। একমাত্র ছেলে শাহরিয়ার হোসেন রাব্বি এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী। তিনি শিমুল তুলা গাছ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সরকার বলেন, তুলাগাছ চাষ করার পরপর আমাকে জানান চাষি মহব্বতজান। আমি তাকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছি। তবে স্কয়ার কোম্পানি এ তুলা গাছ কাচামাল হিসেবে ক্রয় করবে। সময়মতো জমিতে এসে চুক্তিতে কিনে নেয়। এছাড়া এলাকায় আরো দুই ব্যক্তি ১৫ কাঠা জমিতে তুলাগাছ চাষ করেছেন। গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো দাম পাবে।

স/শা