বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে নির্যাতিত গৃহবধুর বাবা শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, দুই বছর আগে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের শরিফুল হকের ছেলে সোহান হোসেন আদিপের সাথে সামাজিকভাবে চক নারায়নপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে সঞ্চীতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী। এই টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হয় গৃহবধু। এরমধ্যে ৫ মাসে পেটের সন্তান নির্যাতনে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। তারপর গৃহবধুর বাবা তিন মাস আগে সোহান হোসেন আদিপকে এক লক্ষ টাকা দেন। বাঁকি দুই লক্ষ টাকার জন্য আবারও শুরু হয় নির্যাতন। এই টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বুধবার বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বামীর সাথে তার শশুর শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনে আহত হয়।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধুর পেটে, পিঠে ও শরিরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের যন্ত্রনায় বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে কাতরাচ্ছেন।
নির্যাতিত গৃহবধু সঞ্চীতা খাতুন বলেন, আমার স্বামী শশুর শাশুড়ি ও ননদ মেধম মারপিট করে এবং ঘরের মধ্যে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির লোকজন আমার চিৎকারে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে চাচা শ্বশুর আবদুল হামেদের বাড়িতে রাখে। সংবাদ পেয়ে আমার ভাই মিঠু আহম্মেদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন সেখান থেকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
স/অ