বাঘায় রেশম বীজাগারে শ্রমিকের বেতন না দিয়ে কাজ বন্ধ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় রেশম বীজাগারের ৪৯ শ্রমিকের তিন মাসের বেতন না দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন রেশম বীজাগারের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আবদুল জলিল।

শ্রমিকদের কাজ পাওয়ার আশায় গেটের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কাজ দেয়া হয়নি। ফলে তারা পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

রেশম বীজাগার সূত্র জানায়, ৩৫ বছর ধরে ৪৯ জন শ্রমিক মীরগঞ্জ রেশম বীজাগারে কাজ করছেন। এক বছর ধরে সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্য ছুটির দিনগুলোতে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ কারণে শ্রমিকরা মাসে ১২ দিনের বেশি কাজ পান না। ফলে শ্রমিকরা মাসে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা রোজগার করতে পারেন। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে থাকা শ্রমিকরা তারপরও কাজ করছিলেন। রেশম বোর্ডের সভায় প্রায় ৯৭ বিঘা জমির মধ্যে ৪০ বিঘা জমিতে তুঁতের চাষ করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক শ্রমিকরা কাজ করে। কিন্তু হঠাৎ করে (১৫ মার্চ) ৪৯ জন শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

মীরগঞ্জ রেশম বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন আলী জানান, তিন মাস ধরে তারা বেতন পান না। বেতনের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বকেয়া বেতম না দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শ্রমিক ছলেমান হোসেন, আজাদ আলী, মজিবর রহমান, আবদুল কাদের, বাবুল হোসেন, আশরাফ হোসেন, আবুল কালাম, রসুল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মোশারফ হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, বুধবার (১৪ মার্চ) আমরা সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত রেশম বীজাগারে কাজ করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রায়ংশ জমা দিয়ে বাড়ি যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকালে কাজে এলে কাজে যোগদান করতে দেয়নি। ফলে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কাজ দেয়া হয়নি।

বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ রেশম বীজাগারের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আবদুল জলিল জানান, রেশম বীজাগারে কাজ না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে রেশম পোকা উঠানো হবে। তখন কাজ হবে ওই সময় পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া রেশম বীজাগারে যখন কাজ খাকবে তখন তাদের ডেকে কাজ দেয়া হবে মর্মে দৈনিক মুজুরি ভিক্তিতে ৪৯ জন শ্রমিকের স্থানীয় কার্ড করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোন কাজ না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বাজেটের উপর শ্রমিক খাটানো হয়। বাজেট আসলে বকেয়া বেতন দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন। শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে রেশম বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।

স/অ