বাঘায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে স্বামী শ্রীঘরে

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী পলি খাতুনের মাথার চুল কেটে নেওয়া স্বামী নাহিদ রানাকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার চক বাউসা গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে পলি খাতুন (২৫) এর সাথে আট বছর আগে সামাজিকভাবে পাঁচপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম পিন্টুর ছেলে নাহিদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারনে-অকারনে যৌতুক দাবি করতেন তিনি। যৌতুকের টাকা দিতে না পারলে নির্যাতন করতেন তার স্ত্রীকে। একপর্যায়ে ২৭ মে রাত ১০টার দিকে চার বছরের শিশু নোহা খাতুনকে নিয়ে উভয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা আনার কথা স্ত্রীকে বলেন নাহিদ। টাকা আনতে না চাওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চার বছরের শিশু নোহা খাতুনের সামনে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রথমে পিটিয়ে জখম করে। পরে ধারালো চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে কেটে দেন। এতেও তিনি ক্ষান্ত না হয়ে স্ত্রী পলি খাতুনের মাথার চুল কেটে দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পলির বাবা আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে প্রতিবেশিরা জানান, প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে বিয়ে করেন নাহিদ রানা। তারপর থেকে প্রথম স্ত্রীর উপর কারনে-অকারনে নির্যাতন করতেন তিনি। তবুও ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। অবশেষে তাকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে নিয়েছেন স্বামী।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, স্ত্রীকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় স্বামী নাহিদ রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

স/শা