বাঘায় মিথ্যা মামলায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে গ্রেফতারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বাঘা উপজেলা ইউপি নির্বাচনের বিদ্রহী প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারসহ প্রচারে বাধা ও পোস্টার  ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলে অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রর্থীর বিরুদ্ধে। শনিবার(১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর একটি রেস্তোরায় বিদ্রহী প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আকতারী সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলের মনোনিত প্রতীক না পাওয়ার কারণে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং মনোনয়ন ফরম জনে বর্তমানে দলের মনোনীত প্রতিক পাওয়া ব্যক্তি মো. শফিকুল ইসলাম ( শফিক ) ও তার ছোট ভাই মো. সুমন ইসলাম আমার স্বামীর সতন্ত্র পদপ্রার্থী হওয়ার কারনে তাকে সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। এমন কি তাকে ১৫ লক্ষ টাকা  দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি তার কথায় রাজি না হওয়ায় গত ০৪ডিসেম্বর রাতে শফিক কয়েক জন নেতা ও তার ভাই মো. সুমনসহ মুখোশধারী ৬০-৭০ জন আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং আমার বাড়ির গেট ও কাঁচের জানালা ভাংচুর করে এবং প্রকাশ্যে চিৎকার করে বলতে থাকে তুফান তুই কোথায় আছিস বেরিয়ে আই , তুই আজকের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ালে তোকে মেরে ফেলবো তোকে আজ কে বাঁচায় দেখব, বলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকেন । আমি ঐ সময় বাড়িতে একাই ছিলাম । আমি জীবন বাঁচানোর তাগিদে এলাকাবাসির অনেককেই মোবাইল ফোনে বলতে থাকি আমাদেরকে বাঁচান তা না হলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে।

এই সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কে বা কারা মসজিদে গিয়ে মাইকিং শুরু করে এবং বলতে থাকে তুফান ভাইয়ের বাড়িতে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করেছেন আপনারা সবাই তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসুন । মাইকিং শুনে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি থেকে এদিক ঐদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। এদিক ঐদিক পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা বাসীর হাতে ৪ জন মুখোশধারী বহিরাগত সন্ত্রাসী ধরা পড়ে। তাদেরকে কোন প্রকার শারিরীক নির্যাতন না করে পুলিশ আসলে পুলিশের কছে সুন্দরভাবে হস্তান্তর করা হয় । পুলিশ ঘটনার বিবরণ শুনে ঐ ৪ জন সন্ত্রাসী কে নিয়ে যায় ।

পরে থানার ওসি সাহেব আমার আমার স্বামীকে ভোর ৫টার সময় ফোন দিয়ে থানায় তাদের নামে মামলা করার কথা বলে থানায় ডেকে নেন । মামলা না করলে বিষয়টি তদন্ত করা যাবে না । ওসি সাহেবের কথা মত আমার স্বামী ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে থানায় যান । থানায় গেলে ওসি সাহেব আমার স্বামীসহ ৩জনকে আটক করে, পরে জানতে পারি তিনি থানায় আটক হয়ে আছেন । বর্তমানে তিনি জেল খানায় বন্দী জীবন যাপন করছেন ।

তিনি বলেন, প্রতিক পেয়ে পোস্টার ছাপিয়ে আমার সমর্থন কারীদের কাছে পোস্টা দিই এবং তাদেরকে পোস্টার লাগানোর কথা বলে বাসায় ফেরার পথে ০৮ /১০ (জন হ্যালমেটধারী মটরসাইকেল আমার মাইক্রোর সামনে দাড়াই এবং চিৎকার করে বলতে থাকে কোথাও কোন পোস্টার টাংগাবিনা পোস্টার টাংগানো দেখলে তোদের পরিনাম খুব খারাপ হবে । পরের দিন বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার টাংগানো দেখে সমস্তপোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং কিছু পোস্টার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসার এবং ওসি সাহেবকে লিখিত অভিযোগ করি।

এদিকে অভিযোগ বিষয়ে জানতে শফিকুল ইসলাম শফিকে একাধিকরা মুঠোফোনে  যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

তবে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তুফানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ কোন পন্থায় তাকে আটক করা হয়েছে সেটি বড় কথা নয়।

পোস্টার নিয়ে অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আচরন=বিধি আমাদের কাছেও অভিযোগ দিচ্ছে। এগুলো আমার দেখবো। তবে আমার নিরপেক্ষভাবে এগুলো নিষ্পত্তি করবো।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, আমার অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে  ফৈৗজদারি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সকল অভিযোগ গুলো আমার দেখছি।

জেএ/এফ