বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ এর (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জান্নাত ও চার নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আলাল উদ্দিনকে আজ শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংরক্ষিত আসনের এক নারী সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে তাদের পরিষদ থেকে অাটক করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্যকে বৃহস্পতিবার পরিষদের এক কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চেয়ারম্যান ও মেম্বর। এই সময় নারী সদস্যের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তাদের তালাবন্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে আটক করে।
এই ব্যাপারে নারী সদস্য বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে অভিযুক্ত করে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ধর্ষণের কিছু আলামত ইউনিয়ন পরিষদের ওই কক্ষে থেকে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্টিত হয় বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থিত ফারুক আহম্মেদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তাঁর শপথ গ্রহনের ৬৫ দিন দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যু হয়। তারপর ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তোফাজ্জল হোসেন জান্নাতকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আটককৃত চেয়ারম্যান ও মেম্বর বিএনপি’র সমর্থিত। তবে সংরক্ষিত নারী সদস্য আওয়ামীলীগ সমর্থিত। এছাড়া নারী সদস্যের স্বামীর দুটি স্ত্রী। এরমধ্যে বড় স্ত্রী ইউনিয়ন সদস্য চেয়ারম্যান-মেম্বর দ্বারা ধর্ষিত হয়।
বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বর চাঁন্দু মিয়া বলেন, আটককৃত চেয়ারম্যান ও মেম্বরের সাথে ওই নারী সদস্যের সম্পর্কের আলামত কখনো অনুভাব করা যায়নি। তবে মনের মধ্যে তো ঢুকা যায়না। কার মনে কি আছে?
বাঘা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউনিয়ন নারী সদস্যকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরনের করা হয়েছে। বর্তমানে হাসাপাতালে ভর্তি আছে। রিপোট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
স/অ