বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী বাউসা ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের মাসুদ হোসেন (৩২)। ভ্রাম্যমানভাবে মধু চাষে রীতিমত স্বাবলম্বী হয়েছেন প্রবল মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমী মাসুদ হোসেন। তিনি এইচএসসি পাশ করে ভ্রাম্যমান হিসেবে মধু চাষে সফলতা এনেছেন।

মধু চাষি মাসুদ হোসেন চার বছর আগে ভাংগুড়া এলাকায় বেড়াতে গিয়ে মধু চাষ দেখে তার নজর কাড়ে। ওই এলাকার মধু চাষে সাফল্য দেখে পরিকল্পনা করেন। ওই বছরই তিনি বাবা আবদুর রহমানের কাছে থেকে কিছু টাকা নিয়ে মৌমাছির ১০টি বাক্স তৈরী করে নিজ এলাকার মাঠে মধু চাষ শুরু করেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই শতাধিক মৌমাছির বাক্র তৈরী করে পাবনার ভাংগুড়া উপজেলার এক মাঠে বাক্স নিয়ে মধু চাষ শুরু করছেন। এবছর তিনি ইতিমধ্যে দুই লাখ টাকার মধু বিক্রি করেছেন। তিনি আরো দুই লাখ টাকার মধু সংগ্রহ করবেন বলে জানান। এই সফলতা তাকে আরও সাহসী কওে তুলেছেন বলে জানান।

সাফল্যের নাগাল পাওয়া মাসুদ হোসেন আগামী বছর আরো দুই শতাধিক মৌমাছির বাক্স তৈরী করার পরিকল্পনা করেছেন।

মাসুদ হোসেনের সংসারে মা, স্ত্রী, ভাইসহ ৬ সদস্যের পরিবার। অর্থের অভাবে লেখাপড়া শেষ করা হয়নি। অবশেষে মধু চাষ শুরু করে বর্তমানে তিনি ভালো এবং স্বাবলম্বী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম জানান, আমার পরামর্শে মাসুদ বিভিন্ন এলাকায় মৌমাছির বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
স/শ