বাঘায় বয়স্কভাতার কার্ডের নামে টাকা আত্মসাৎ: ফেরত চাওয়ায় যুবককে পিটালেন যুবলীগ নেতা

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মায়ের বয়স্কভাতার টাকা ফেরত চাওয়ায় মাহাবুল ইসলাম নামের এক যুবককে পিটিয়েছেন আড়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাইড্রোজ। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঝিনা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে যুবলীগ নেতাকেও মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে থানায় আরেকটি অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আড়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাইড্রোজ ঝিনা মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী শুকুর জান বেগমকে বয়স্কভাতার কার্ড করে দেযার নাম করে ৪ হাজার টাকা নেয়। পরে কার্ড করে না দেয়ায় শুকুর জান বেগমের ছেলে মাহাবুল ইসলাম তার কাছে টাকা ফেরত চায়। এ টাকা ফেরত দিতে না চাইলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাহাবুল ইসলামকে মারপিট করে আড়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাইড্রোজ। পরে ঝিনা রেলগেটের মানুষ একত্রিত হয়ে যুবলীগ সভাপতিতে গণধোলাই দেয় বলে জানান আড়ানী ইউনিয়নের সদস্য ও ঝিনা গ্রামের মাসুদ রানা।

এদিকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে মর্মে যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম হাইড্রোজ বাদি হয়ে মাহাবুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাইড্রোজ বলেন, গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের সমর্থকরা আমাকে মারপিট করে। এর জের ধরে মাহাবুল ইসলাম আমাকে মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়। ফলে আমি বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এছাড়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

শুকুর জান বেগম বলেন, আমরা অতিদরিদ্র মানুষ। দিন এনে দিন খায়। আমার বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়ার নাম করে টাকা নেয় হাইড্রোজ। এ টাকা ফেরত আনতে গেলে আমার ছেলেকে মারপিট করে সে। পরে ঝিনা এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে তাকেও গণধোলায় দেয়। তাতে আমি খুশি হয়েছি। হাইড্রোজ আমার ছেলের নামে থানায় অভিযোগ করায় আমার স্বামীও হাইড্রোজের নামে থানায় অভিযোগ করেছে।

আড়ানী ইউনিয়ন চেযারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝিনা এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কী নিয়ে মারামারি, এটা আমার জানা নেই। তবে উভয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে শুনেছি।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, ঝিনা এলাকা থেকে দু’টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/শা