বাঘায় বাড়ি ফিরে মেয়ের লাশ দেখে সজ্ঞাহীন মা

বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় সুস্থ মেয়েকে বাড়িতে রেখে বাইরে কাজে গিয়েছিলো মা কাকলী বেগম। কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ঘরের মধ্যে দেখেন কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৭) এর লাশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চবরাজাপুর ইউনিয়নের চরকালিদাসখালি নতুনপাড়া এলাকায় আকস্মিক মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে।

বর্ষা উপজেলার মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, কাজের তাগিদে ঢাকায় থাকেন বর্ষার বাবা কহিনুর ইসলাম। বর্ষা ও অপর দুই সন্তান নিয়ে তার মা কাকলী থাকেন বাড়িতে। ওইদিন বিকেলে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলো তার মা কাকলী। তার ছোট বোন ও এক ভাই বাইরে খেলছিল। সন্ধ্য্যার আগে বাড়িতে ফিরে ঘরের চৌকিতে মেয়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা। পরে কান্না শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তবে এই মৃত্যু নিয়ে নানা মনে নানা প্রশ্ন থাকলেও সেখানকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই দাবি করেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, এর আগেও মাঝে মাঝে অসুস্থ্য হয়ে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়তো বর্ষা। ওই সময় তার মুখ দিয়ে লালা বের হতো। মাথায় পানি দিলে সুস্থ হয়ে যেত। কিন্তু এবার মাথায় পানি দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বিভিন্ন সময় ডাক্তার-কবিরাজকে দেখিয়েছে। জিনপরির আছর আছে বলে তাবিজ-কবজ ব্যবহার করে। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ধারনা করা হচ্ছে। এদিকে মেয়েকে নিয়ে আগামী ভবিষ্যতের স্বপ্ন হারিয়ে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন মা কাকলী।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা বলেন, লোক মারফত বিষয়টি শুনেছি। তবে ঘটানাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

স/অ