নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় সেই অজ্ঞাত নারীর ঝুলন্ত লাশের ৫ ঘন্টা পর পরিচয় পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে ছবি দেখে থানায় এসে তার পরিচয় শনাক্ত করে তার পরিবার।
সে উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুন (১৬)। রুমা মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অস্টম শ্রেণির ছাত্রী।
এ বিষয়ে তার মা শরিফা বেগম বাদি হয়ে ওই রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রুমার দুলাভাই মিলন হোসেন বলেন, পানি কামড়া গ্রামের সুমন আলী নামের এক যুবকের সাথে রুমার প্রেম ছিল। রুমা তাকে বিয়ে করার কথা বললে সুমন তা প্রত্যাখান করে। এর জের ধরে সে হইতো গলাল ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে তার ফেসবুকে ছবি দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বাড়ি মালিক দিপক কুমার বলেন, আমি পৌরসভার একজন মাষ্টার রোলের কর্মচারী। আমি পৌরসভার একটি কক্ষে থাকি। তবে কোন কোন সময়ে আমার পরিত্যক্ত বাড়িতে যায়। সেখানে কিছু জামা কাপড় রাখা আছে। প্রয়োজনে সেগুলো নিতে যায়। তিনি জানান, স্থানীয় আবদুর জব্বার আলী নামের এক ব্যক্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখি একটি লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশকে জানালে লাশ উদ্ধার করে।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের ৫ ঘন্টা পর গতকাল রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে ছবি দেখে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে তার পরিবার। এব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাঘা পৌরসভার পূর্ব-দক্ষিণে গৌর জুয়েলার্সের পেছনে দিপক কুমারের পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দা থেকে অজ্ঞাত (১৬) পরিচয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মেয়েটির পরনে গোলাপি রঙ্গের জামা ও পায়জানা ছিল। ছিপছিপি গড়ন। পায়ে কোন স্যান্ডেল ছিল না। গায়ের রঙ শ্যামলা, লম্বা প্রায় সাড়ে ৪ ফুট। ওই মেয়ে গলায় একটি সাধারণ দঁড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে আছে। এগুলো দেখে তাকে হত্যা করে সেই পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা করেন স্থানীয়রা।
স/অ
আরো পড়ুন …
বাঘায় পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে অজ্ঞাত নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার