বাঘায় পদ্মায় জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম রক্ষার চেষ্টা


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের মাঝে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও কালিদাসখালী গ্রাম রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা। ১০ দিন যাবত ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে জিও ব্যাগ ফেলে এটি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১১ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি ব্যাগ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় দ্বিতীয়দফা পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতাও বাড়তে শুরু করে। বিষয়টি চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল দেখে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ২১ আগষ্ট থেকে ২০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এই ভাঙনের কারনে কালিদাসখালী গ্রামের বাসিন্দার মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী সারোয়ার-ই-জাহান পদ্মার ভাঙ্গন ও জিও ব্যাগ ফেলার পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী (শাখা কর্মকর্তা) মাহাবুব রাসেল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল আযম প্রমুখ।

ভাঙনকবলিত কালিদাসখালী গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতের কারণে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম এলাকা ভাঙছে। এক নাজুক পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা কাজ শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয়দফা আকস্মিকভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির কারনে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতাও বাড়ছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজজুল আযম বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেন। পরে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এই জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ভাঙন অনেকটায় থেমে গেছে। আশা করছি এতে গ্রামটি রক্ষা পাবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল বলেন, বাঘার পদ্মা নদীর কালিদাসখালী এলাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বালুর ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০০ মিটার এলাকায় ১১ হাজার ২৮৪টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে।

স/আর