বাঘায় পদ্মার চরের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাঘায় পদ্মার চরে জমির মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় পদ্মা নদীর কড়ালি নওশারার হবির চরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, কড়ালি নওশারার হবির চরের শরিফুল ইসলামের জমিতে মাটি কাটছিল। এসময় আলমগীর হোসেন বাঁধা দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, বোন মাজেদা বেগম ও ভাই জিয়াউল হক আহত হন।

এদিকে আলমগীর হোসেনের পক্ষে রিপন হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগের দিন বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) আলমীগর হোসেনকে ও তার মা আসুরা বেগমকে মারপিট করে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, শরিফুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই কারণে তাদের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ একাধিকবার হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এবিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, বছর খানেক আগে আমার বাবাকে মারপিট করে একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। তাদের মারপিটে বাবা বর্তমানে পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে। তাদের নামে মামলা করায় আমাদের উপর হামলা করেছে। আমি ও আমার মা বর্তমানে মেডিকেলে ভর্তি রয়েছি।

এদিকে শরিফুল ইসলামের ভাই বেলাল হোসেন বলেন, শরিফুলের জমির উপর সকালে মাটি কাটছিলাম। এসময় তারা হামলা করে। এতে শরিফুলকে, তার স্ত্রী, বোন ও ভাইকে বেধম মারপিট করেছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,  সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/আ