বাঘায় ধানের জমিতে পার্চিং উৎসব

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় ধানের জমিতে পার্চিং উৎসব পালন করা হয়েছে। উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর ব্লকের বিনোদপুর-পারসাওয়া মাঠে ধানের জমিতে উপজেলা কৃষি অফিস এই উৎসব পালন করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবিনা বেগমের সার্বিক তত্বাবধায়নে পার্চিং উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মাহামুনুল ফারুক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আবিদুল আলম, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাসমত আলী, ইউনিয়ন সদস্য আবদুল হাকিম, কৃষক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বুধবার দুপুরে কৃষকের উদ্দেশ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মাহামুনুল ফারুক বলেন, ধানের জমিতে গাছের ডাল ব্যবহার করলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে।

অতঃপর পাখিরা ধানে আক্রমনকারী ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফসল রক্ষা করে। এছাড়া পরিবেশের সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি ধান উৎপাদন কয়েগুন বেড়ে যায়। ধানের জমিতে পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে শালিক ও ফিঙে পাখি বসে ধানের ক্ষতিকর পোকাকে ধ্বংস করে। পোকা ধরে খাওয়ার জন্য পাখিতে বসার জন্য জায়গার ব্যবস্থা সরাই মুল উদ্দেশ্য। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যায়। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে। বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখা যায়। পোকার বংশ বিস্তার কমানো যায়। সহজে পোকার বসতি নষ্ট করা হয়। এছাড়া পাখির বিষ্টা জমিতে জৈব সার হিসেবে উর্ববরতা শক্তি বৃদ্ধি করে।
স/শ