বাঘায় দুই বছরে আড়াই শতাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ

আমানুল হক আমান, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় দুই বছরে আড়াই শতাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম। নির্বাহী কর্মকর্তা দুই বছর আগে এই উপজেলায় যোগদান করেন। তারপর থেকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন আড়াই শতাধিক নারীকে।

সূত্র মতে উপজেলায় কিছু পরিবারের মধ্যে প্রবনতা আছে ১৫ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায় নারীদের। বর্তমানে বাল্য বিয়ে যে হারে বাড়ছে তাতে ২০২০ সাল নাগাদ ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় চার শতাধিক নারী শিশু স্বামীর ঘরে যাবে। বর্তমানে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে দ্বিগুন। আর এই অবস্থাকে নারী শিশুদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ফলে দুই বছরে আড়াই শতাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। এছাড়া তিনি শুধু বাল্য বিয়ে বন্ধই নয়, মাদক নির্মূল, আধুনিক অফিস, সীমানা প্রাচীর নির্মান, শহীদ মিনার, ক্যাম্পাস পরিস্কার, বসার স্থান, ফুল বাগান, জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচার, শিক্ষার মান উন্নয়ন মুলক কাজ করেন।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক নারী শিশু দিবসকে সামনে রেখে জাতিসংঘ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের বড় একটি সতর্কবার্তা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। নিঃসন্দেহে এই সমস্যার ব্যাপ্তির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমন এক বয়সে বিয়ে হয়, যখন একটা নারী জানেই না বিয়ের অর্থ কি। এভাবে নারী শিশুদের শৈশব ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। তারা শাররীরিক ও মানষিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই মা হচ্ছে। আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের কারন দারিদ্র। এই মূহুর্তে এক শ্রেণীর দুষ্টচক্রকে প্রতিহত করতে হবে।

সূত্রে জানা যায়, উন্নয়নশীল দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী তিন জনের মধ্যে একজন নারীর বিয়ে হয়। আর ১৫ বছরের কম বয়সী নারী শিশুদের বিয়ের হার সেখানে ১০ শতাংশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম বলেন, শিশু অধিকার সংগঠন, শিশু কনেদের দৃষ্টির অলক্ষে থাকা নারী শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বিস্মৃত। বিশেষ করে পদ্মার চরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে এর প্রবনতা বেশি। ফলে এদের মধ্যে নানা ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং অকালে বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়ে। বাল্য বিয়ের কারনে নারী নির্যাতনের প্রবনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সরকাররের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

 

স/আ