বাঘায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক নারী: স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্ণার

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এক নারী। তিনি ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বাঘায় নিজ গ্রাামে এসে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলামের চেম্বারে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী মুক্তি খাতুন (২২) নামের এক নারী। ইতিমধ্যেই এখানে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্ণার।

বাঘা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন মশা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে অনেক সুস্থ মানুষও হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয় এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কাজ করছে।

আড়ানী এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবাজ আলী বলেন, মানুষের উদ্বেগ দূর হচ্ছে না। স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। নিজেদের এবং সন্তানদের নিয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি ডেঙ্গু আতঙ্কে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে মুক্তি খাতুন নামের এক নারীর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তিনি ঢাকার আগাঁরগাওয়ে এলজিইডি অফিসে কাজ করতেন। আক্রান্তের পর ঢাকা থেকে নিজ গ্রাম মিলিক বাঘায় চলে এসেছেন। বাঘায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। তবে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. আকতারুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিম গঠন করে ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে উৎপত্তি স্থল ধ্বংস করে অল্পদিনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর প্রকোপ বন্ধ করতে প্রত্যেকের বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানির টব, পলিথিন, ডাবের খোসায় যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি।

স/শা