নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী দুইটি ট্রেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আড়ানী রেল স্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আড়ানী স্টেশন মাস্টার একরামুল হক ও পয়েন্টম্যান রওশন আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পশ্চিম অঞ্চলের রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, দুপুরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বর্দীগামী সিক্স ডাউন মেইল ট্রেন আড়ানী রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় খুলনাগামী কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আসছিল। কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনটি পাচ করার জন্য ২ নম্বর লাইন ক্লিয়ার করার কথা থাকলেও, তা না করে ১ নম্বর লাইন ক্লেয়ার ছিল। ফলে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির মুখোমুখি হয় কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনটি। কিন্তু কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেনের চালক রুহুল আমিন সিরাজ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি দেখতে পেয়ে মুখোমুখি হওয়ার ১৫ গজ দুরে থামিয়ে দেন। এতে ১ হাজার দুই শতাধিক যাত্রী অল্পের জন্য রক্ষা পান। উভয় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ছুটাছুটি ও চরম আতংক দেয়া দেয়। তাৎক্ষনিক বাঘা থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন পেছন দিকে ব্যাক দিয়ে রাজশাহীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়।
আড়ানী স্টেশন মাস্টার একরামুল জানিয়েছিলেন, পয়েন্টম্যানের ভুলের কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ৩৩ মিনিট পর ট্রেনটি আড়ানী ছেড়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আড়ানী স্টেশনের পয়েন্টম্যান রওশন আলী বলেন, আমি কিছুদিন আগে স্টোক করে প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে পড়েছি। দ্রুত চলাচল করতে সমস্যা হয়। আমি পয়েন্ট ঠিক করতে যাওয়ার আগেই কপোতাক্ষ আন্তনগর ট্রেন আড়ানী স্টেশনে ঢুকে পড়ে। তবে চালকের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মুখোমুখি হওয়ার আগে ট্রেন থামিয়ে দেন।
এ ঘটনায় পশ্চিম অঞ্চলের রেলওয়ের (পাকশী) বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে দায়িত্বে অবহেলার কারনে স্টেশন মাস্টার এনামুল হক ও পয়েন্টম্যান রওশান আলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স/শা
