সোমবার , ৬ জানুয়ারি ২০২০ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘায় জলাবন্ধতায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, পরিদর্শনে ইউএনও

Paris
জানুয়ারি ৬, ২০২০ ৮:১৬ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় অধিকাংশ বিলে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে নষ্ঠ হচ্ছে ফসলি জমি। এ সকল জমিতে কৃষকরা কোন ফসল ফলাতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এ বিষয়ে সমাধান করার লকেবষ সোমবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে জলাবদ্ধতা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা কর্মকর্তা।

জানা গেছে, উপজেলার বারখাদিয়া, নওটিকা, আরিফপুর, আমোদপুর, খুদে ছয়ঘটি, জোতরাঘব ও চন্ডিপুর এলাকার বিলে অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। ফলে এ বিলে বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২-৩ বছর ধরে এলাকার কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছে না। যে সব জমিতে বিগত সময়ে এক বছরে তিন ধরনের ফসল উৎপাদন হতো বর্তমানে কোন মৌসুমে তা হচ্ছে না। ফলে শতশত কৃষক মানবেতর জীবন যাপন করছে।

খুদে ছয়ঘটি গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, বারখাদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, জোতরাঘব গ্রামের ইউনিয়ন সদস্য চঞ্চল মাহমুদ জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন বিলগুলোতে যে, ভাবে পানি জমে আছে তা, নদীর সাথে ড্রেন করে অতিসত্বর পানি নিস্কাসনের করার ব্যবস্থা করা দরকার। আর তা না হলে যতটুকু আবাদি জমি রয়েছে সে টুকুও থাকবে না।

তাঁরা বলেন, পার্শবর্তী লালপুর উপজেলার পুর্ব দিক দিয়ে পানি প্রবাহিত ড্রেন ছিল। বর্তমানে এ ড্রেনের পাশ দিয়ে অসংখ্য পুকুর খনন করায় স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু বলেন, বাঘা উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা। এ উপজেলায় সব ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। কিছু মানুষ অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ থেকে প্রতিকার করা দরকার।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে জলাবদ্ধতায় ফসলি জমি নষ্ঠ হওয়ার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে এ সমস্যা নিরসন করা খুব কঠিন। প্রকল্পের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে ড্রেন করে বিলের জমে থাকা পানি নিস্কাশন করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও কৃষি মন্ত্রনালয়কে অবগত করা হবে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর