বাঘায় দুই শিশু সন্তান ফেলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে নারী

বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় দুই সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর পন্ডিত পাড়া গ্রামে নাইম উদ্দিনের বাড়িতে ২১ ঘন্টা যাবত অনশন করছেন বলে জানা গেছে। তারপর থেকে নাইম বাড়ি থেকে পালিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী (২৪) সাথে মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর পন্ডিত পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাইম উদ্দিনের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের কারণে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ওই নারী। কিন্তু প্রেমিক নাইম বিয়ে করতে রাজি হয়নি।

এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন ওই নারী। প্রেমিকা বাড়িতে আসার পর থেকে সে পালিয়েছে। তারপর থেকে বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাড়িতে বসে ছিল প্রেমিকা। প্রেমিকার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটির বয়স ৬ আরেকটির বয়স আড়াই বছর।

এ বিষয়ে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে প্রেমিকা প্রতিবেদককে জানান, রোজার ঈদের আগে থেকে নাইমের সাথে ফোনে কথা বলা শুরু হয়। তারপর থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। নাইম বিয়ে করবে এবং মেয়ের দায়িত্ব নিবে বলে কয়েকবার শারিরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসে অনশন করছি। সে বিয়ে না করা পর্যন্ত যাব না। তার স্বামী আর ঘরে নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে নাঈমের বড় বোন বলেন, মেয়েটি যখন বাড়িতে আসে, এ সময় তার সাথে ৮-১০ জন ছেলে ছিল। বাড়িতে একটি বড় ছাগল ছিল। তারপর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।

মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর সেখানে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ছেলের বাড়ির লোকদের জিম্মায় আছে। ছেলেকে হাজির করতে বলা হয়েছে। ছেলে আসলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার বাড়িতে আছে মেয়েটি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এটি একটি পারিবারিক ব্যাপার। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।