বাঘায় এ মৌসুমে লোকসান গুনতে হয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের

আমানুল হক আমান, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় চামড়া ব্যবসায়ীদের এ মৌসুমে লোকসান গুনতে হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য চামাড়া দাম আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল। তারপর বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসান হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আড়ানী এলাকার স্থানীয় চামড়া ব্যবাসয়ী বিপুল হোসেন বলেন, ঈদের দিন খাসির চামড়া ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, মেয়ে ছাগলের চামড়া ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, গরুর চামড়া ১ হাজার  ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। প্রতি বছর এ সময় গ্রামে গ্রামে চামড়া কিনে স্থানীয় আড়তে বিক্রি করি। এতে কিছু টাকা আয় হয়। কিন্তু এ বছর আয়তো দুরের কথা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়েছিলাম। সে টাকা অর্ধেক লোকসান হয়েছে।

 

আড়ানী  গোচর গ্রামের সমাজ প্রধান আকরাম হোসেন বলেন, আমাদের ২২টি পরিবার নিয়ে সমাজ করা হয়েছে। এ সমাজে ১৯ পরিবার কোরবানি দিয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি খাসি দুটি মেয়ে ছাগল, ৪টি গরু কেরাবনি ছিল। চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র দুই হাজার ৯০০ টাকা। এই টাকা এলাকার গরীদের মাঝে বিলি করে দেওয়া হয়। চামড়ার দাম বেশি হলে গরীবদের বেশি করে দেওয়া সম্ভব হয়। এবার কম দামে চামাড়া বিক্রি হয়েছে। তাই গরীবের ভাগে কম হয়েছে।

 

আাড়ানীর স্থানীয় চামড়ার আড়তদার ইয়াহিয়া খান বলেন, চামড়া কিনে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চালান এখনো আসেনি। জানিনা কি পরিমান লোকসান হবে। অন্যান্য বছরের তুলতায় দ্বিগুন লোকসান হবে বলে তিনি জানান।

 

ব্যবসায়ীরা এ লোকসান থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও করুণ অবস্থা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। বেশি দামে চামড়া কিনে আর বিক্রি করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপটে চামড়ার কাছে ভিড়তে পারেনি অনেক ব্যবসায়ী। তার পরেও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় চামড়া কেনায় তাদের লোকসানের মূল কারণ।

স/শ