বাঘায় ঈদকে সামনে রেখে টুপি আতর সুরমার দোকানে ভিড়

আমানুল হক আমান, বাঘা :
ঈদের শেষ মুহূর্তে কেনাকাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। এখন সুরমা, আতর, টুপির দোকানে উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। এই কেনাকাটা চলবে ঈদের দিন নামাজের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ঈদের দিনে চোখে সুরমা টেনে গায়ে খুশবু মেখে নামাজ আদায় করবেন। সে কারনে রোজার শেষের দিনগুলোতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন আতর সুরমার দোকানে।

 

শুধু আতর সুরমাই নয়, সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে টুপি। আতর সুরমা কিনতে বেশি দেখা যায় কিশোর ও বয়োজ্যেষ্ঠদের। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও আতরের চাহিদা আকাশছোঁয়া। শুধু আতর নয়, টুপির দামও বেড়েছে।

উপজেলার আড়ানী হামিদকুড়া গ্রাম থেকে আতর কিনতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে সবাই আতর, সুরমা, টুপি কেনেন। যার কারণে দোকানিরা দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। পায়জামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে একটি টুপি ছেলেদের সৌন্দর্য যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের আতর, সুরমা, টুপির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বাজারে এগুলোর বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।

আতর বিক্রেতা মখলেছুর রহমানা বলেন, তার দোকানে সৌদি আরবের ‘উদ আতর, লর্ড আতর’ আছে। এসব আতর তৈরি হয় সৌদি আরবে, শিশার মুখে সিলগালা করা আছে। তার দোকানে আরও আছে ফেরদৌস, কিসওয়াতুল কাবা, দিলরুবা, আম্বর কস্তুরি, জেসমিন, ইরানি নামের আতর। এসব আতরের দাম পড়বে ২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় মিনি শিশাতে।

 

তিনি আরো বলেন, শুধু ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতে আতর টুপির ব্যবসা করি। দেশি আতরের চাহিদা বেশি। এবার বিভিন্ন ফুলের সুগন্ধের আতরগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব আতরের তোলা হিসেবে কিনলে অনেক টাকা দাম পড়ে। তাই তিন মিলি ছোট শিশাতে আতর বিক্রি হয় বেশি। এতে টাকা যেমন কম পড়ে তেমনি অনেক ধরনের আতর সংগ্রহে রাখা যায়। আতর ৩০ থেকে ৬০ টাকা বোতল বিক্রি হয়। ঈদের নামাজে রঙ-বেরঙের টুপি পরতে পছন্দ করে শিশু-কিশোররা। এই কারনে ঈদের সময় শৌখিন টুপির কদর বাড়ে।

দোকানগুলোতে দেখা যায় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে রঙ-বেরঙের সব বাহারি টুপি। টুপি মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, সুরমা ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নয় বছরের অর্ক নামের এক শিশু পায়জামা-পাঞ্জাবির সাথে মানিয়ে টুপি কিনতে বাজারে এসেছে বাবা শিক্ষক কামরুল হাসান জুয়েলের সাথে।

আড়ানী পৌর বাজারের মূল রাস্তায় বসে প্রায় ১৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ আতর, সুরমা ও টুপির ব্যবসা করে আসছেন রুস্তমপুর গ্রামের মখলেছুর রহমান। প্রতিবছর রমজানের শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বলেন, ঈদ যত এগিয়ে আসছে বিক্রিও তত বাড়ছে।

অপর দিকে রক্রি গ্রিফট কর্ণারের প্রোপাইটর রক্রি আহম্মেদ বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার টুপির চাহিদা বেশি। বিক্রিও বেশি হচ্ছে।

স/অ