বাঘায় আলোচিত শর্মিঠা হত্যার তদন্তে পিবিআই, প্রধান আসামি প্রবাসে

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় এক বছর পূর্বে বহুল আলোচিত শর্মিঠা রানীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে এর মাঝে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে মামলার প্রধান আসামি শর্মিঠার দেবর সোমেন সাহা ।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক স্বামী সুকান্ত সাহার ঘরে গলাই ওড়না বেধে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী শর্মিঠা রানী।
এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে আদালতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শর্মিঠার বাবা সুনীল কুমার সাহা। মামলার দু’মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শর্মিঠা রানীর শরীরের আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। ফলে বিষয়টি আমলে নিয়ে বাঘা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরও পুলিশ বাদির পক্ষে চূড়ান্ত রিপোর্ট না দিয়ে আসামীদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। তারপর নারাজি পিটিশন করেন বাদি। ফলে আদালত পিবিআইকে মামলার পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। তবে এর মাঝে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে এ মামলার আসামি সোমেন সাহা। এ ঘটনায় রাজশাহী শহরে শর্মিঠার পক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মহল।

শর্মিঠার ভাই সুভ্রত সাহা বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে আমার বোনের শরীরে দাগ রয়েছে। আমার ধারণা, স্বামী ও দেবরের প্ররোচনায় বোন আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ঘটনার কিছুদিন না যেতে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে মামলার প্রধান আসামি সোমেন সাহা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর ফাছির উদ্দিন জানান, কোনো মানুষ আপনা আপনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় না। এর পেছনে কোনো কারণ রয়েছে। তবে এ মামলার তদন্ত আশা করছি মূল রহস্য বের হবে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের অজিত সাহার ছেলে স্কুল শিক্ষক সুকান্ত সাহার সাথে রাজশাহী শহরের সুনীল কুমার সাহার মাস্টার্স পড়ৃয়া মেয়ে শর্মিঠার বিয়ে হয়।

স/শা