বাঘার আড়ানী থেকে পুঠিয়া শিবমন্দিরে ৩০ তম গঙ্গাজল অর্পন

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়নী থেকে পুঠিয়া শিব মন্দিরে গতকাল সোমবার ৩০ তম গঙ্গাজল অর্পণ করা হয়েছে। গঙ্গাজলের আয়োজন করেন আড়ানী ক্ষাপা বাবার আশ্রম। হাজার হাজার ভক্তরা সকাল ৫টা থেকে গঙ্গা জল অর্পণ শুরু করে। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে। পূর্ণার্থীরা আশ্রমের পাশে বড়াল নদী থেকে রং বেরঙ্গের ঘটিতে করে জল নিয়ে এসে প্রথমে ক্ষাপা বাবার পূর্ণ সমাধিতে গঙ্গাজল অর্পণ করে। পরে পুঠিয়া শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বোম বোম ধ্বনিতে জল অর্পণ করেন।

জানা যায়, আড়ানী ক্ষাপা বাবার আশ্রমে ১৯৮৯ সাল থেকে পাগলা বাবা জিতেন্দ্র নাথ সরকার প্রথম বোম বোমের সূচনা করেন। এই আশ্রম থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সত্যম শিবম সুন্দরম জয় বাবা ভোলানাথ, জয় বাবা আড়ানী নাথ, জয় বাবা পুঠিয়া নাথ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলার আড়ানী থেকে পুঠিয়ার ঐতিহাসিক ও সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন অনুষ্ঠিত হয়।

আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমের পরিচালক শ্রীমৎ পাগলা বাবা মহারাজ জিতেন্দ্র নাথ সরকার জানান, অশেষ মহাপূণ অর্জন করতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মীয় পুরুষ-নারী ভক্তরা তিনদিন থেকে এই আশ্রমে সমবেত হয়। পরে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিব মন্দিরে সোমবার সকাল থেকে সংসারের ত্রিতাপ জ্বালা হতে মুক্তির নিমিত্তে গঙ্গাজল অর্পন করেন।

আগত ভক্তরা গেরুয়া ধুতি, লাল রঙ্গের গেঞ্জি, মাথায় লাল ফিতা পরিধানরত একটি বাঁকা ভার দু’টি বড় ছিকা সম্বলিত দু’ঘটিতে গঙ্গাজল সাজিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেটে যথা সময়ে বোম বোম ধ্বনিতে শিব মন্দিরে পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন করেন। আগত পূন্যার্থীদের মাঝে তিনদিন থেকে আড়ানী আশ্রমের অর্থায়নে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন আশ্রম পরিচালনা কমিটি।

উল্লেখ্য, ১২৩০ বঙ্গাব্দ ও ১২৩৭ বঙ্গাব্দ উপমহাদেশের দৃষ্টি নন্দন সস্বলিত ঐতিহাসিক ও সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারানী ভুবনমহনদেবী। এই আশ্রমে রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, রঙপুর, পাবনা, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, টাংগাইল, ঠাকুরগা, মেহেরপুর, খুলনা, ঢাকা, গায়বান্দা, গাজিপুর, বগুড়া, ময়সনসিংহ, নরসিনদিসহ সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে ।

স/শ