বাঘায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্স ছাড়াই চলছে ক্লিনিক, দুটি বন্ধ ঘোষণা


বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্স ছাড়াই চলছে ক্লিনিক। ফলে একের পর ঘটছে মৃত্যু। সেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগীরা। এমনি অভিযোগ উঠেছে বাঘায় ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে। অধিকাংশ ক্লিনিকে অজ্ঞান কারক (অ্যানেসথেনিয়া), অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি, পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন অটোক্লেভ মেশিন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স ও লাইসেন্স নেই।

এ অভিযোগে রোববার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারে নাজিয়া ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের ও জাহানারা ডায়াগনস্টিকস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী যুথি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সদরে স্থানীয় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় প্রসূতির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রিলিজ দেয়ার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয়।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতির সিজার অপরেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান।

২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের পর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।
২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট হার্নিয়া অপরেশনের তিনদিন পর বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী মারা যান।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগমের সিজার অপরেশনের পর মারা যান।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩০ মে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারায় সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগসষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলায় ২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের বেশির ভাগই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। এছাড়া যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #