বাঘায় পরিবারে নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন


বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় পরিবারে নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হয়।

অমরপুর গ্রামের সাংস্কৃতমনা, যাত্রাপ্রেমী তরুণ ও মধ্য বয়সি যুবকের উদ্যোগে ‘অশ্রু দিয়ে লেখা ’ যাত্রাপালাটির মূল রচয়িতা ছিলেন ভৈরবনাথ গোঙ্গপদধ্যায়। তবে স্থানীভাবে পরিচালনা করেন মোহাম্মাদ আলী মাহাম। যাত্রাপালায় সামাজিক শিক্ষা, লোক শিক্ষা, গ্রাম বাংলার নবাব পরিবারের সাথে সহজ সরল পরিবারের কাহিনী। সাধারণ বাঙালি ঘরের একটি পরিবারের নির্যাতনের কাহিনী মঞ্চায়িত করা হয়। আধুনিকতার যুগে যাত্রাপালাটি দর্শকরা এটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করে।

যাত্রাটি নবাব সাইফুদ্দিন মুজাফফর শাহার ভাই আজগর আলীর সাথে প্রজা গফুর মিয়ার কন্যা সালমার প্রেমের সর্ম্পক হয়। নবাব সেটা মেনে নেই না। প্রজার পরিবারকে নির্যাতন করে। প্রজাকে কারাগারে পাঠিয়ে পরে হত্যা করে। পরে নায়ক ও নায়িকাকে কারাগারে রেখে চোখ তুলে নেন। পরিশেষে হত্যা করে। অপরদিকে হিন্দু রাজা আনন্দ রায় হাবশি নবাব সাইফুদ্দিন মুজাফফর শাহার অন্যায় অত্যচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এতে হিন্দু রাজার সাথে হাবশি নবাবের যুদ্ধ হয়। হাবশি নবাব পরাজিত হন। এভাবে কাহিনী অবলম্বনে সমাপ্ত হয় যাত্রাপালা।

এ বিষয়ে যাত্রাপালার পরিচালক মোহাম্মাদ আলী মাহাম বলেন, আধুনিক সংস্করণ বর্তমানে ভালো কোনো গল্প নেই, পালার আমেজ নেই, ডিজে বাজিয়ে পালার আসরে নারী-পুরুষের যৌথ উচ্ছৃঙ্খলা যখন যাত্রার উপজীব্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে তখন ‘অশ্রু দিয়ে লেখা ’ যাত্রাপালাটি থেকে দর্শকরা মূল যাত্রার স্বাদ পেয়েছে। এক কথায় সুস্থ ধারার বিনোদনেরও একটি মাধ্যম যাত্রাপালা।

যাত্রাপালার নির্দেশক হাবিবুর রহমান বলেন, এটি মা, মাটি, দেশে ও সমাজের কথা বলে। আদি সংস্কৃতির সেই যাত্রা পুরনো স্মৃতিগুলোকে আবার সামনের দিকে নিয়ে আসতে চাই। সেই প্রয়াসে এটি মঞ্চায়ন করা হয়।

যাত্রাপালার দর্শক সেলিম হোসেন বলেন, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ যাত্রাটি নিজেকে খুব উপভোগ করেছি। খুব ভাল লেগেছে। এতে অভিনয় করেন বগা, ইদ্রিস আলী, কালাম হোসেন, হাবিবুর রহমান, সামসুল ইসলাম, লাভলু, বাবলু, হাফিজুল, সাথী, রেখা, ঝর্ণা প্রমুখ।#