বাঘায় পদ্মার ১১ চরের মানুষের বাহন মহিষের গাড়ি


আমানুল হক আমান, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার ১১টি চরে শুকনো মৌসুমে মানুষের মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা মহিষের গাড়ি। এ চরের অনেকেই মহিষের গাড়ির ওপর জীবিকা নির্বাহ করে।

জানা যায়, পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুরচর, কালীদাসখালী, লক্ষ্মীনগর, দাদপুর, উদপুর, পলাশী ফতেপুর, ফতেপুর পলাশী, নিচ পলাশী, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, দিয়াড়কাদিরপুরসহ ১১টি চর রয়েছে। এ চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে মহিষের গাড়ি বা বাঁশের সাঁকো আবার কখনো পায়ে হেঁটে পারাপার হন। উপজেলার পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর শিমুলতলাঘাট, চাঁদপুরঘাট, পালপাড়াঘাট, সরেরহাটঘাট, খায়েরহাট ক্লাবেরঘাট, খায়েরহাট হালিম মাস্টারেরসহ ছয়টি ঘাট রয়েছে।

এই ঘাটের যে কোনো স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে চরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এছাড়া পদ্মার মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনো উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ নেই। এ কারণে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পাশ করার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে লেখাপড়াই বন্ধ করে দেয়। যারা লেখাপড়া করেন, তাদের অনেক কষ্টে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় খায়েরহাট হালিম মাস্টারের ঘাটে ৬০০ মিটার একটি সেতুর জন্য কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।