আমানুল হক আমান, বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় পরপর দুইদিনে ঝড়ে ঝরে পড়া আম ১০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি হয়েছে। উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর মোড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এই আম ক্রয় করেন স্থানীয় ব্যববসায়ী রবিউল ইসলাম।
সূত্রে জানা গেছে, পরপর জ্যৈষ্ঠের শুরুতে মঙ্গলবার ও বুধবার ঝড় হয়। এই ঝড়ে গাছ থেকে আম ঝরে পড়ে। এই আম গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বাগান মালিকরা কুড়িয়ে উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর মোড়ে ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। এই আম ক্রয় করেন গোচর গ্রামের আম ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম।
উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের বাগান মালিক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার আম বাগানে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমান আম আছে। ঝড়ে পড়া আম গ্রামের মানুষ কুড়িয়ে ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে।
আড়ানী গোচর গ্রামের আম ব্যববসায়ী ও ক্রেতা বউিল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে আমের ব্যবসা করি। বিশেষ করে কড়ালি ও ঝড়ে পড়া আম কিনে ঢাকার ঢাকায় চালান করি। প্রতিমণ ১০০ টাকা দর হিসেবে ক্রেতাদের কাছে থেকে ক্রয় করেছি।
আড়ানী গোচর গ্রামের আম বিক্রেতা রেজুল মন্ডল বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। ঝড়ের সময়ে অন্যের বাগান থেকে তিন মণ আম কুড়িয়ে এনে ৩০০ টাবায় বিক্রি করেছি। মঙ্গলবারও ৪ মণ আম ১২০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করেছি।
আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড গোচর গ্রামের কাউন্সিলর নওশাদ আলী সরদার বলেন, পরপর দুইদিন মঙ্গলবার বিকালে ও বুধবার রাতে হঠাৎ ঝড়ে যে আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো এলাকার মানুষ ও বাগান মালিককরা কুড়িয়ে বিক্রি করেন। ১০০ টাকায় প্রতিমণ হিসেবে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রচন্ড রোদের কারণে আমের বোটা নরম হয়ে যাওয়ায় একটু বাতাসে আম ঝরে যায়। এই আম বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে ও বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলায় আট হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৩ দশমিক ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে যে আম ঝড়ে পড়েছে, সেই আমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বাগান মালিকরা।