বাগাতিপাড়ায় ভেঙ্গে পড়েছে কালভার্ট, ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর বাজারের অদূরে প্রায় ২০ দিন পূর্বে ভেঙ্গে পড়েছে কালভার্ট। কয়েক গ্রামের বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ওই কালভার্টটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন বিলের পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সড়কটির ভাঙ্গা অংশে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা কালভার্টটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

কালভার্ট সংলগ্ন বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, প্রায় ২০ দিন পূর্বে একটি বালুবাহি ট্রাক সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে। তার ধারণা, অনেক পুরোনো হয়ে পড়ায় এটি ভেঙ্গে গেছে। বড় গাড়িগুলোর এই পথে চলাচল বন্ধ গেছে। আর ছোট গাড়িগুলো একপাশ দিয়ে চলছে। যেকোন সময় ওই অংশও ভেঙ্গে পড়তে পারে। ফলে সড়কটিতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও রাতের আঁধারে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ভাঙ্গার প্রায় বিশ দিন পার হয়ে গেলেও মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

স্থানীয় রহিমানপুর গ্রামের বৃদ্ধ জমির উদ্দিন মোল্লা জানান, ১৯৬৭ সালের দিকে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। রহিমানপুর মোল্লাপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের বিলের পানি পাশের দেবনগর সোনার বিলে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। এছাড়াও রহিমানপুর বাজার থেকে উত্তর দিকের কয়েকটি গ্রামের যাতায়াত রয়েছে এই সড়কে। মাঠের নানান ফসলাদিও বাজারজাত করনে সড়কটি ব্যবহার করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটিতে কালভার্টের অর্ধেকাংশের ওপরের পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পড়ে রয়েছে। একটি লাঠির মাথায় লাল কাপড় বেঁধে স্থানীয়রা সতর্ক সংকেত দিয়েছেন। আর দুর্ঘটনা এড়াতে একটি কাঠের গুড়ি ভাঙ্গা অংশের পাশে রাস্তার ওপরে রাখা হয়েছে। তাছাড়াও বাজার থেকে বামের দিকে বাঁক নেয়ার স্থানে কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ায় যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

এ বিষয়ে জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, যতদ্রুত সম্ভব কালভার্টটি মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবাগত উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কালভার্টটি নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

স/শা