বাগাতিপাড়ায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার অভাবে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার চকতকিনগর-সালাইনগর সড়কের মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা না হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে কাদায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে।

এলাকাটিতে শিক্ষার আলো অনেক আগেই পৌছে গেছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও পাকা করা হয়নি মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। ফলে এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করন নিয়ে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা বিপাকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট একাধিকার দাবিও তুলেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু তাতেও কোন ফল হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে মাপজোক করা হলেও কোন কাজ হয়নি।

তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম এর নিকট রাস্তা এবং ব্রিজের দাবি করা হলে তিনি তা নির্মানের আশ্বাস দেন। এরপর বড়াল নদীর ওপর রহিমানপুর-দিয়াড় ফেরিঘাট এলাকায় তকিনগর ব্রিজের অনুমোদনে খবর পাওয়া গেলেও রাস্তাটি পাকা করনের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।

এদিকে, গত অর্থ বছরে এলজিইডি ওই সড়কের মাত্র আধা কিলোমিটার পাকা করনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখনও শেষ হয়নি।

তিনি আরো জানান, তকিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যানিকেতন, তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, অথেনটিক পলিটেকনিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। ফলে ক্লাশে তাদের উপস্থিতি কমে যায়।

স্থানীয় রিয়াজুল ইসলাম জানান, এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় কৃষিপণ্য বাজারজাত করন করতে প্রায় সাত কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তাছাড়াও রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে আমসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। ফলে অনেকটা কম দামেই এসব পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয় চাষীরা।

একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লাবণী বলেন, বর্ষাকালে জুতা-স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে কলেজে আসতে হয়। এছাড়াও রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় ভ্যান, রিকসা, অটো কিছুই আসতে চায়না। ফলে পায়ে হেটে কলেজে আসি।

উপজেলা প্রকৌশলী এ এস এম শরীফ খান এর কাছে এ বিষযে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে জেনে পরে জানানো হবে।

স/অ