বাগমারায় ৩টি স্বর্ণের দোকান, অফিস ও বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল বাজারে ৩ টি স্বর্ণের দোকান, টিএমএসএস এর অফিস ও মচমইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে স্বর্ণসহ নগদ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দোকানে কেনা বেচা শেষে বাড়িতে যায় ব্যবসায়ীরা। রাতের কোন এক সময় মচমইল বাজারের ম-বাবা জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স সহ আশা জুয়েলার্সে দোকানের তালা ভেঙ্গে বিপুল পরিমান সোনা, চাদিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। মা-বাবা জুয়েলার্স এর মালিক কেরামিন আলী জানান তার দোকান থেকে স্বর্ণ, চাদিসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

মা-জুয়েলার্সের মালিক সাইদুর রহমানের দোকান থেকে ১৬ ভোরি চাদি চুরি করে। অন্যদিকে আশা জুয়েলার্সের মালিক আঃ হালিম জানান তার প্রায় ১০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।

অপর দিকে একই রাতে টিএমএসএস এর মচমইল বাজার শাখার অফিসে জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে অফিসের আলমারিসহ বিভিন্ন ড্রয়্যারে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকা চুরি করে। টিএমএসএস এর মচমইল বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মোনতেজার জানান দিনে বিদ্যুৎ না থাকার কারনে অনেক রাত পর্যন্ত কম্পিউটারে কাজ করে অফিসের লোকজন। তারা চলে গেলেই চোরেরা অফিসের জানালার গ্রিল কেটে অফিসে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও মচমইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে তালার শিশা উপড়িয়ে ভিতরে প্রবেশ করে চোর। বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরি থাকলেও তিনি এগিয়ে যায়নি তাদের সামনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার জানান বিদ্যালয়ের মূল ভবনে থাকেন নৈশ প্রহরি মাহাবুর রহমান। যে দুটি কক্ষে তালার শিশা উপড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেটা মূল ভবন থেকে একটু দূরে। তবে কি জন্য তিনি বিষয়টি দেখলেন না সেটা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নৈশ প্রহরি থাকার পরেও যদি চোরেরা বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে কিছু চুরি করার চেষ্টা করে তাহলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কোথায়।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে  গত মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে টিএমএসএস এর লোন অফিসার ও ক্যাশিয়ারের বাসার তালা ভেঙ্গে সাড়ে ৩ ভোরি স্বর্ণ সহ নগদ ২০ হাজার টাকা চুরি করে। গত সপ্তাহে মচমইলের আশা এনজিও’র এবিএম রফিকুল ইসলামের ১০০ সিসি বাজার সিটি মোটর সাইকেল চুরি করে চোরেরা। একের পর এক চুরির ঘটনার এলাকার সাধারণ মানুষ সহ স্থানীয় দোকানদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারনা নেশা খোরের অবাধ চলা ফেরা আর আইনি দুর্বলতার কারনে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান ঘটনাটি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/আ